পার্থক্য গড়ে দিয়েছে সেই পাঁচ ওভার!

তামিম ইকবাল। ছবি: এএফপি
তামিম ইকবাল। ছবি: এএফপি

২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ৩৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ তুলল ৩৩৩ রান। ৪৮ রানে এই পরাজয়ের ব্যাখ্যায় অনেকে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া এত বড় স্কোরের কথাই আগে বলবেন। ৩৮২ রান; তাড়া করা যেকোনো দলের জন্যই কঠিন। কথা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার কী এভাবে রানের পাহাড়ে চড়ার কথা ছিল? মাশরাফি-মুস্তাফিজ-রুবেলরা কী তাঁদের আরও কম রানে বেঁধে ফেলতে পারতেন না! হয়তো পারতেন। সত্যি কথা বলতে, স্লগ ওভারেই ওরা রানের পর্বতে চড়ে বসে। নির্দিষ্ট করে বললে, ৪১ থেকে ৪৬তম ওভারে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ যেন হঠাৎই দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। এ সময় এক এক করে এসেছেন সাকিব, মুস্তাফিজ, মাশরাফি, সৌম্য, রুবেল। বাংলাদেশ অধিনায়কের তখন যে একটা উইকেট খুব করে দরকার ছিল। এত বোলিং পরিবর্তনের সেটাই কারণ। কিন্তু হয়েছি কী! এই ছয় ওভারেই ঝড় তুলেছেন ওয়ার্নার-খাজা-ম্যাক্সওয়েলরা। অস্ট্রেলিয়া এই ছয় ওভারে রান তুলেছে ৯৬। এটিই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন তামিম ইকবাল। তাঁর ভাষায়, ‘একটা সময় পর্যন্ত আমরা সমানে-সমান ছিলাম। কিন্তু ওই পাঁচ ওভারই আসলে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’ এই ছয় ওভারের মধ্যে অবশ্য সৌম্য সরকার ফিরিয়েছেন ওয়ার্নারকে। কিন্তু ওয়ার্নার সাজঘরে ফেরার পর ম্যাক্সওয়েল এসে ১০ বলে ৩২ রানের যে ঝড় তুললেন, তাতেই সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়।

৪০ ওভার শেষে ফিঞ্চ-ওয়ার্নারদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৫০। বাকি ১০ ওভারে ওভারপ্রতি ১০ রান করে দিলেও রান ৩৫০ এর বেশি হয় না। তখন হয়তো বাংলাদেশের একটু হলেও আশা বেঁচে থাকত। তামিম ইকবালের কথায়ও একই সুর শোনা গেল। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ওপেনার সাংবাদিককে বললেন, ‘ওদেরকে যদি ৩৫০–এর মধ্যে রাখতে পারতাম, আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের একটা ভালো সুযোগ ছিল। কিন্তু ৩৮০ (৩৮১) অনেক...।’ 

তামিম ইকবাল মনে করেন, এত বড় রান তাড়া করে জিততে হলে কেউ একজনকে অবিশ্বাস্য একটা ইনিংস খেলা লাগত। যেটা হয়নি। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ নিজেদের সর্বোচ্চটা চেষ্টা করেছেন।