কঠিন কাজটা কীভাবে সামলাচ্ছেন মোসাদ্দেক

মোসাদ্দেক সামলাচ্ছেন কঠিন চ্যালেঞ্জ। ফাইল ছবি
মোসাদ্দেক সামলাচ্ছেন কঠিন চ্যালেঞ্জ। ফাইল ছবি
>মোসাদ্দেক হোসেনের ভূমিকাটা হচ্ছে লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে ঝড় তুলতে হবে, দলের স্কোরটা বড় করতে হবে। কাজটা মোটেও সহজ নয়। কঠিন কাজটা কীভাবে করছেন সেটিই বললেন মোসাদ্দেক

আবাহনীর হয়ে খেলেই কি জায়গা করে নিলেন বিশ্বকাপ দলে? বিশ্বকাপে রওনা দেওয়ার আগে মোসাদ্দেক হোসেনকে এমন অপ্রিয় প্রশ্ন যে শুনতে হয়নি, তা নয়। প্রশ্নটা উঠেছিল কারণ, তিনি সুযোগ পাননি ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে। জায়গা হয়নি তাঁর নিউজিল্যান্ড সফরেও। এই তিনটি সিরিজ ভূমিকা রেখেছিল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল গঠনে।

উল্লিখিত তিনটি সিরিজই যেহেতু খেলেননি—মোসাদ্দেক ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স দিয়েই জায়গা পেয়েছেন বিশ্বকাপ দলে। আবাহনীর হয়ে খেললেও তাঁর জায়গা পাওয়াটা যে প্রশ্নবিদ্ধ নয়, সেটি তিনি দূর করে দিয়েছেন আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ২৭ বলে অপরাজিত ৫২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে। সেই ছন্দটা তিনি ধরে রেখেছেন ক্রিকেট বিশ্বকাপেও।

টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছে, লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে ঝড় তুলতে হবে, দলের স্কোরটা বড় করতে হবে। আর বোলিংয়ে ইনিংসের মাঝে সাকিব আল হাসান-মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে প্রতিপক্ষকে চাপ দিতে হবে। কাজটা তিনি ভালোভাবেই করছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ২০ বলে ২৬ আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৪ বলে ৩৫—দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশকে ভালো স্কোর এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে তাঁর ছোট্ট দুটি ঝড়। খণ্ডকালীন অফস্পিনার হিসেবেও তিনি দলকে ভালো সেবা দিচ্ছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এক ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন।

সময় থাকে না, বলও তেমন থাকে না—সাতে নেমে ঝড় তুলতে হয়। আবার ইনিংসের মাঝে সেট ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখার কাজটা করতে হয়। কঠিন কাজ কীভাবে সামলাচ্ছেন, সেটি আজ টিম হোটেলে বললেন মোসাদ্দেক, ‘অবশ্যই শুধু আমার জন্য না, ‘সবার কাজই কঠিন। অনেক চাপ থাকে। তবে সাতে নেমে নিজের দিকে তাকানোর চেয়ে দলের রান তোলা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে যত দ্রুত রান তোলা যায়, তত দলের ভালো। (গত) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এটাই চেষ্টা করেছি, বেশির ভাগ ম্যাচে ১০০-এর ওপর স্ট্রাইক রাখতে চেয়েছি। বিশ্বকাপেও সে চেষ্টাই করছি স্ট্রাইকরেট ১০০-এর ওপরে রাখতে। আর বোলিংয়ে জানি আমাকে ৫-৬ ওভার করতে হলে অনেক ডট বল দিতে হবে। উইকেট শিকারের চেয়ে তখন ডট বল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি চেষ্টা করছি সেটাই করতে।’