৯২ নয়, পাকিস্তানের ভাবনায় ১৯

একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গে এবারের মিল নিয়ে ভাবছেন না ওয়াহাব রিয়াজ। ছবি: টুইটার
একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গে এবারের মিল নিয়ে ভাবছেন না ওয়াহাব রিয়াজ। ছবি: টুইটার
>৯২ বিশ্বকাপের সঙ্গে কাকতালীয় ভাবে মিলে যাচ্ছে একের পর এক পরিসংখ্যান। পাকিস্তান সমর্থকেরা তাই আশায় আছেন, চূড়ান্ত কাকতাল মানে বিশ্বকাপ জেতাটাও এবার হয়ে যাবে। তবে পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ জানালেন, ক্রিকেটাররা কাকতাল নিয়ে নিজেদের মধ্যে তেমন একটা আলোচনা করেন না।

পাকিস্তানি ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে ১৯৯২ আর ২০১৯ মিলে মিশে একাকার! একের পর এক পরিসংখ্যান মিলে যাচ্ছে, শুরুতে শুধু জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যান মিললেও এখন তো ম্যাচের খুঁটি-নাটিও মিলে যাচ্ছে। যদিও এখনো পাকিস্তানের সেমিফাইনাল নিশ্চিত নয়, তবুও সমর্থকদের কেউ কেউ তো দিব্যদৃষ্টিতে ১৪ জুলাই লর্ডসের ব্যালকনিতে সরফরাজকেই বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে উৎসব করতে দেখছেন!

কাকতালের এই উন্মাদনা পাকিস্তান দলকে কতটা ছুঁয়ে যাচ্ছে সেটা এত দিন জানার কোনো উপায় ছিল না। তবে দলের পেসার ওয়াহাব রিয়াজ আজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে গেলেন, ৯২ নয়, ভাবনাটাকে ২০১৯ বিশ্বকাপে সীমাবদ্ধ রাখছেন তাঁরা, ‘আমাদের মাঝে ১৯৯২ বিশ্বকাপ নিয়ে তেমন একটা কথা হয় না। দলের সবাই একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। আমরা এবারের বিশ্বকাপে খেলছি, তাই আমাদের এটি নিয়েই ভাবতে হবে।’

ভারতের বিপক্ষে বড় হারের পর পাকিস্তানের বিশ্বকাপ মিশন শেষ বলেই ধরে নিয়েছিল সবাই। কিন্তু দারুণ প্রত্যাবর্তনে টানা তিন ম্যাচ জিতে পাকিস্তান এখন পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে। খাদের কিনারা থেকে ফিরে আসার রহস্য নিয়েও বললেন ওয়াহাব রিয়াজ, ‘মূলত বিশ্বকাপের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলার কারণেই এখন ফল আমাদের পক্ষে আসছে। সবার লক্ষ্য একটাই, বিশ্বকাপ জয়।’

এদিকে এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম কার্যকর পেস ত্রয়ী পাকিস্তানের। ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ আমির এবং শাহিন শাহ আফ্রিদিকে দিয়ে গড়া পেস আক্রমণের সামনে খাবি খাচ্ছে প্রতিপক্ষরা। তিন পেসার এখন পর্যন্ত ৩৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপে, ওয়াহাব রিয়াজের কণ্ঠেও বোলিং নিয়ে স্বস্তি, ‘বোলিংয়ে যেভাবে সম্মিলিতভাবে পারফর্ম করছি আমরা, সেটা অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। বিশেষভাবে শাহিন দারুণ উন্নতি করেছে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচের পর ও কিছুটা চাপে ছিল, কিন্তু দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছে। আমির বিশ্ব সেরা বোলারদের একজন, সে দুদিকেই বল ঘোরাতে পারে। এর মাধ্যমে সে ব্যাটসম্যানদের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করতে পারছে। আমাদের এভাবেই বোলিং করে যেতে হবে যা দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’