সাকিবই আমাদের বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরুর প্রথম সপ্তাহে আইসিসির ওয়ানডে অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিং ছিল নিম্নরূপ:

১ সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ৩৫৯

২ রশিদ খান আফগানিস্তান ৩৩৭

৩ মোহাম্মদ নবী আফগানিস্তান ৩১২

৪ ইমাদ ওয়াসিম পাকিস্তান ২৮৩

৫ মিচেল স্যান্টনার নিউজিল্যান্ড ২৭৫

৬ ক্রিস ওকস ইংল্যান্ড ২৬৭

৭ বেন স্টোকস ইংল্যান্ড ২৬৫

৮ জেসন হোল্ডার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৬৪

৯ সিকান্দার রাজা জিম্বাবুয়ে ২৬১

৯ মোহাম্মদ হাফিজ পাকিস্তান ২৬১

♦আপডেট: ১ জুন ২০১৯।

এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ অর্জন সাকিব আল হাসানের উত্থান।

টেস্ট ক্রিকেটের র‍্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও ওডিআই বা এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের র‍্যাঙ্কিংয়ে সাকিব শীর্ষ অলরাউন্ডারের আসনেই আসীন ছিলেন।

এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দুটি শতক এবং চারটি অর্ধশতক হাঁকানোর পাশাপাশি সাকিব যখন ১০ উইকেট তুলে নিলেন, তখন সাকিবের অর্জন বিশ্বের বাকি সব অলরাউন্ডারের তর্জন-গর্জনকে ছাড়িয়ে গেছে।

৩৫৯ পয়েন্ট নিয়ে সাকিব আল হাসান তাঁর শীর্ষাসনটি আরও পোক্ত করেছেন।

ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস, বেন স্টোকস, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার, পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ, নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার, শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বা ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া—এঁরা সবাই সাকিবের চেয়ে ১০০ পয়েন্টের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছেন।

সাকিবের আগে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের একই আসরে ৫০০ রান ও ১০ উইকেট কেউ কখনো নিতে পারেননি। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে সাকিবই প্রথম এই বিরল কৃতীর অধিকারী হলেন।

দ্বাদশ বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশের যে স্বপ্ন ছিল, তা অধরা থেকে গেলেও সাকিব আল হাসান যে অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করলেন, সেই গৌরব বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব থেকে কম কিছু নয়।

বিশ্বকাপটি হয়তো চার বছর পরপর হাতবদল হবে, কিন্তু সাকিব আল হাসানের রেকর্ড সহজে ভাঙবে বলে মনে হয় না।

সাকিবই আমাদের বিশ্বকাপ।

জয় সাকিব। জয় বাংলা।