ব্রাজিলিয়ান 'ব্র্যান্ডে' বসুন্ধরার টানা এক ডজন জয়

গোলের পর মার্কোস ভিনিসিয়ুসকে ঘিরে সতীর্থ ফুটবলারদের উল্লাস। ফাইল ছবি
গোলের পর মার্কোস ভিনিসিয়ুসকে ঘিরে সতীর্থ ফুটবলারদের উল্লাস। ফাইল ছবি
>নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে বিজেএমসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে টানা এক ডজন জয় তুলে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচে একটি করে গোল করেছেন নুরুল নাঈম ফয়সাল ও ব্রাজিলিয়ান মার্কোস ভিনিসিয়ুস।

বলের ওপর নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ, দুর্দান্ত ড্রিবলিং করে সাপের মতো এঁকে বেকে প্রতিপক্ষের ফাঁক গলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, চোখ ধাঁধানো পাস আর দৃষ্টিনন্দন গোল। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের এই সৌরভে বুঁদ থাকে পুরো বিশ্ব। নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মার্কোস ভিনিসিয়ুসের পায়ে দেখা গেল তেমনই দুর্দান্ত এক গোল। তাঁর দুর্দান্ত গোলের ওপর ভর করে বিজেএমসির বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বসুন্ধরা কিংস। অন্য গোলটি করেছেন সেন্টারব্যাক নুরুল নাঈম ফয়সাল।

আজকের এই জয়ে বড় এক কীর্তি গড়েছে বসুন্ধরা। টানা এক ডজন জয়ের রেকর্ড গড়েছে করপোরেট ক্লাবটি। এর আগে সর্বোচ্চ টানা ১১ ম্যাচ জিতেছিল আবাহনী লিমিটেড। ২০০৯-১০ মৌসুমে এই অনন্য কীর্তি গড়েছিল আকাশি-নীলরা। আবাহনীর রেকর্ড ভেঙে তাদের পেছনে ফেলেই লিগে দুর্দান্ত গতিতে ছুটছে বসুন্ধরা। এই জয়ে ১৮ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষে বসুন্ধরা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনীর পয়েন্ট ৪৫।

বিজেএমসি নামটি শুনলেই বসুন্ধরার নড়েচড়ে বসার কথা! লিগে ১৮ ম্যাচ খেলে ১৭ জয়ের বিপরীতে বসুন্ধরার একমাত্র ড্রটি এই বিজেএমসির বিপক্ষেই। নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে তাদের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল তারা। এর পরে সেই যে জয়ের রথে উঠে বসেছে বসুন্ধরা। আর নামার নাম নেই। টানা ১২ ম্যাচে জয়। কোনো বড় অঘটন না ঘটলে বসুন্ধরার হাতেই লিগের শিরোপা দেখছেন অনেকে।

আজ বসুন্ধরাকে প্রথমে এগিয়ে নেন সেন্টারব্যাক ফয়সাল। ২৬ মিনিটে দানিয়েল কলিনদ্রেসের কর্নারে গোলমুখ থেকে হেডে গোল করে ১-০ করেন। লিগে এটিই তাঁর প্রথম গোল। ৭৫ মিনিটে হয়েছে ব্রাজিলীয় সৌরভ ছড়ানো গোলটি। পেনাল্টি আর্কের ওপর থেকে বল নিয়ে একে একে ইনসাইড-আউটসাইড ডজে তিনজনকে কাটিয়ে গোলটি করেন মার্কোস। একবারে ব্রাজিলিয়ান ব্র্যান্ডের গোল। লিগে এটি তাঁর ১১তম গোল।