ব্রিটেনে যে-ই ক্ষমতায় আসুক স্টোকস হবেন 'স্যার'

বিশ্বকাপ ফাইনাল স্টোকসের কাঁধে চড়েই জিতেছে ইংল্যান্ড। ছবি: এএফপি
বিশ্বকাপ ফাইনাল স্টোকসের কাঁধে চড়েই জিতেছে ইংল্যান্ড। ছবি: এএফপি
>

চারদিকে এখন স্টোকস-বন্দনা। বিশ্বকাপ ফাইনালে মহাগুরুত্বপূর্ণ ৮৪ রান করে ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতাতে সাহায্য করা এই অলরাউন্ডারকে নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম মেতেছে। সে তালিকায় যুক্ত হয়েছেন যুক্তরাজ্যের আগামী প্রধানমন্ত্রী হতে চাওয়া দুই নেতা বরিস জনসন আর জেরেমি হান্ট। তাঁরা উভয়ই নিশ্চয়তা দিয়েছেন, ক্ষমতায় গেলে ‘নাইটহুড’ দেওয়া হবে বেন স্টোকসকে।

ইংল্যান্ড এখন উন্মাতাল বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে। জেসন রয়, এউইন মরগান, জফরা আর্চাররা এখন ইংল্যান্ডের নয়নের মণি। সবাই সবচেয়ে বেশি মাতোয়ারা বেন স্টোকসকে নিয়ে। আর হবে না কেন? গোটা টুর্নামেন্টে যখনই দলের প্রয়োজন হয়েছে, জ্বলে উঠেছেন, সেটি ব্যাট হাতে হোক বা বল হাতে বা দুর্দান্ত কোনো ক্যাচ ধরে। ফাইনালেও স্টোকসের ৮৪ রানের চড়েই শিরোপার ছোঁয়া পেয়েছে ইংল্যান্ড। দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের সবচেয়ে বড় সাফল্য যাঁর হাত ধরে এল, তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা দেওয়া হবে না? যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী দুই নেতা বরিস জনসন ও জেরেমি হান্ট ঘোষণা দিয়েছেন, হাজারটা ক্ষেত্রে তাঁদের মতভিন্নতা থাকলেও এই এক ক্ষেত্রে তাঁরা একমত। যে–ই ক্ষমতায় আসুন না কেন, স্টোকসকে ‘নাইটহুড’ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবেই!

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান ও রেডিও চ্যানেল টকরেডিওর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনী বিতর্কে সেদিন ডাকা হয়েছিল দুই প্রার্থী হান্ট ও জনসনকে। থেরেসা মে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ছেন, তাই মের জায়গায় আসবেন এই দুজনের একজন। স্টোকসকে নাইটহুড দেওয়া হবে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে জনসন বলেন, ‘আমি ওকে ডিউক বানাব। ওকে দরকার হলে ডিউকডোম (একটা নির্দিষ্ট এলাকা, যা একজন নির্বাচিত ডিউক শাসন করে থাকেন) দিয়ে দেব একটা পরিচালনা করার জন্য। না, আমি ওকে এর থেকেও বড় সম্মাননা দেব। হ্যাঁ, আমি ওকে “নাইটহুড”ই দেব!’

একই প্রশ্ন যখন জেরেমি হান্টকে করা হয়, তিনি বলেন, ‘অবশ্যই!’

ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে ইংল্যান্ডকে সম্মান এনে দেওয়ার জন্য ১১ জন ক্রিকেটার ও ক্রিকেট সাহিত্যিককে এর আগে নাইটহুডে ভূষিত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক, সাবেক অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম, অ্যালেক বেডসার, নেভিল কার্ডাস, লেন হাটন, জ্যাক হবস প্রমুখ। এঁদের নামের আগে ‘স্যার’ কথাটা যোগ করতে হয় সম্মান জানাতে।

স্টোকস কি এই সম্মানজনক তালিকায় নিজের নাম তুলতে পারবেন? সময়ই বলে দেবে!