ক্রিকেট কোনো খেলাই নয় রাশিয়ার কাছে!

কদিন আগে শেষ হলো জমজমাট ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ছবি: এএফপি
কদিন আগে শেষ হলো জমজমাট ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ছবি: এএফপি

বিশ্বজুড়ে যে খেলাটার প্রায় আড়াই শ কোটি দর্শক আছে, যে খেলাটা নিয়ে দক্ষিণ এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ, এমনকি যুক্তরাজ্যেও দারুণ উন্মাদনা। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার (আইওসি) কাছেও যে খেলাটার স্বীকৃতি আছে। সেই ক্রিকেট কোনো খেলাই নয় রাশিয়ার কাছে! ১৫ জুলাই রাশিয়া ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের দেশে ক্রিকেটের স্বীকৃতি নেই।

অথচ রাশিয়া কিন্তু অনেক আগ থেকেই আইসিসির সহযোগী সদস্য। রাশিয়ার ক্রিকেট-ইতিহাসও শতবর্ষ পুরোনো। আইসিসির অফিশিয়াল পেজে বলা হচ্ছে, ব্রিটিশদের হাত ধরে রাশিয়াতে প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু ১৮৭০-এর দিকে। ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের পর খেলাটার আর বিকাশ ঘটেনি রাশিয়ায়। ক্রিকেট ‘বুর্জোয়াদের’ খেলা—এ ধারণায় রুশদের মধ্যে ক্রিকেটের বিস্তৃত ঘটতে দেননি কমিউনিস্ট নেতারা।

সময়ের সঙ্গে বদলেছে চিত্র। ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে ২০০৪ সালে রাশিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের নাম হয় ‘ক্রিকেট রাশিয়া’। কিন্তু বোর্ডের কার্যক্রম যে শক্তিশালী নয়, সেটি বোঝাই যাচ্ছে। গত ১৫ জুলাই রাশিয়া ক্রীড়া মন্ত্রণালয় একটি তালিকা প্রকাশ করে জানিয়েছে, তাদের দেশে কোন কোন খেলা স্বীকৃত আর কোন কোন খেলা স্বীকৃত নয়। স্বীকৃত পায়নি এমন খেলার মধ্যে ক্রিকেট রয়েছে! আছে থাই বক্সিংও। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট কেন খেলা মনে হচ্ছে না রাশিয়ার কাছে?

মস্কো ক্রিকেট ফেডারেশনের সদস্য আলেক্সান্দার সোকোরিন সংবাদমাধ্যমকে এ নিয়ে একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘এবার আমরা কাগজপত্র তৈরি করতে পারিনি ভালোভাবে। এখানে কিছু টেকনিক্যাল বিষয় আছে। আমাদের আরও আঞ্চলিক সংস্থা (কাউন্টি, রাজ্য বা বিভাগীয় সংস্থার মতো) থাকতে হবে। এখন যেটা আছে ২০ টি। কিন্তু আমাদের দরকার ৪৮ টি। সামনের বছর থেকে আরও বেশি আঞ্চলিক সংস্থা চালু করে আবারও আবেদন করব (স্বীকৃতি পেতে)। এবার স্বীকৃতি পাইনি টেকনিক্যাল কারণে। আশা করি আগামী বছর ঠিক হয়ে যাবে।’

মজাটা হচ্ছে, রাশিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে ক্রিকেট স্বীকৃতি না পেলেও ফুটগলফ, স্পোর্টস ইয়োগা কিংবা মডেল প্লেন ফ্লাইংয়ের মতো খেলাগুলো ঠিকই স্বীকৃতি পেয়েছে।