ভারতের প্রস্তাবে নো বল প্রযুক্তি ফেরাল আইসিসি

আইপিএলে মালিঙ্গার করা সেই নো বল। ছবি: টুইটার
আইপিএলে মালিঙ্গার করা সেই নো বল। ছবি: টুইটার
>

লন্ডনে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে নো বল প্রযুক্তি পরীক্ষামূলকভাবে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনুরোধে সাড়া দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। এ প্রযুক্তি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে

নো বল প্রযুক্তির ব্যবহার ফিরিয়ে আনছে আইসিসি। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে এ প্রযুক্তি। লন্ডনে সদ্য শেষ হওয়া আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২০১৭ সালে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজের পর অতিরিক্ত খরচের জন্য বাতিল করা হয়েছিল নো বল প্রযুক্তি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে এ প্রযুক্তি আবারও পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করা হয়েছিল আইসিসিকে। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক এ সংস্থার নির্বাহী কমিটি তা অনুমোদন করেছে।

নো বল প্রযুক্তি এক দিন ব্যবহার করতে গেলেই হাজার হাজার ডলার ব্যয় হয়। তা ছাড়া গোটা ম্যাচে মোট ডেলিভারির ০.৫ শতাংশেরও কম নো বল হওয়ার (ওভারস্টেপিং) সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে তখন ভাবা হয়েছিল, মাত্র কয়েকটি মুহূর্তের জন্য এ প্রযুক্তির পেছনে হাজার হাজার ডলার খরচ অর্থহীন। ম্যাচে তৃতীয় আম্পায়ার বিশেষ এক যন্ত্রের মাধ্যমে মাঠে বোলারের প্রতিটি ডেলিভারিতে তাঁর পায়ে ওপর নজর রাখেন। নো বল হলে মাঠের আম্পায়ারকে জানিয়ে দেন তৃতীয় আম্পায়ার।

আইপিএলে লাসিথ মালিঙ্গার এক ডেলিভারির জন্য নো বল প্রযুক্তি ফেরানোর আবেদন করেছেন বিসিসিআই। গত মৌসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচে মালিঙ্গার শেষ ডেলিভারি নো বল ছিল। কিন্তু তা মাঠের আম্পায়ারের চোখ এড়িয়ে যায়, আর ওই বলেই বেঙ্গালুরুর হার নিশ্চিত হয়। ম্যাচ শেষে আম্পায়ারের এ ভুল নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন দুই দলেরই অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা।

আইসিসি অনুমোদন দেওয়ায় নো বল প্রযুক্তির প্রথম পরীক্ষামূলক ব্যবহার হবে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে। সফল হলে ফেরানো হতে পারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও। ভারতের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক ব্যবহার সফল হলে চলতি বছরের শেষ দিকে ঘরের মাঠে ভারতের আন্তর্জাতিক ম্যাচে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। লন্ডনের বৈঠকে উপস্থিত থাকা আইসিসির এক অফিশিয়াল সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আইসিসি এ প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক ব্যবহার করবে এবং কিছু পরীক্ষা ভারতে হবে।’ বিসিসিআই অফিশিয়াল বলেন, ‘ঘরের ম্যাচগুলোতে আমরা দ্রুতই এ প্রযুক্তি চালু করব।

প্রযুক্তিটি ব্যবহারে খরচের বিপরীতে কী পরিমাণ ভুল হচ্ছে, তার ওপর চোখ রাখবে আইসিসি ও বিসিসিআই। এ প্রযুক্তিতে তৃতীয় আম্পায়ারকে বোলারের প্রতিটি ডেলিভারিতে চোখ রাখতে হয়। কিন্তু এখন কোনো ব্যাপারে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নিতে তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হলেই কেবল তাঁর ভূমিকাটা দেখা যায়। নো বল প্রযুক্তিতে প্রতিটি ডেলিভারিতেই ব্যস্ত থাকতে হবে তৃতীয় আম্পায়ারকে।