বায়ার্নের বিপক্ষে খেলতেই চাননি বেল!

বেল-জিদান শত্রুতার যেন শেষ নেই! ছবি : রয়টার্স
বেল-জিদান শত্রুতার যেন শেষ নেই! ছবি : রয়টার্স
>

রিয়ালের উইঙ্গার গ্যারেথ বেলের প্রতি কোচ জিনেদিন জিদানের বিরক্তির যেন শেষ নেই। দুই দিন আগে সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি বেলকে রিয়াল ছেড়ে চলে যেতে বলেছিলেন। এবার বললেন, বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে বেল নিজেই রিয়ালের হয়ে মাঠে নামতে চাননি!

সুখে নেই গ্যারেথ বেল। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদানের সঙ্গে তাঁর রেষারেষি চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে মৌসুম পূর্ব প্রীতি ম্যাচের পর জিদান কোনো ধরনের লুকোছাপা না করেই বলেছিলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেল যেন রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে চলে যান। জিদানের এই বক্তব্য হজম করতে পারেননি বেলের এজেন্ট। জিদানকে ফালতু লোক বলে আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। এত কিছুর মধ্যে গতকাল জিদান উল্টো বেলকে দোষ দিয়ে বলেছেন, বায়ার্নের বিপক্ষে খেলতেই চাননি এই ওয়েলশ উইঙ্গার!

বেলকে পাততাড়ি রিয়াল ছাড়ার কথা বলে জিদান কি অসম্মান করেছেন এই তারকাকে? জিদান সেটা মানতে চাননি। উল্টো বলেছেন, বেল নিজেই বায়ার্নের বিপক্ষে খেলতে চাননি।

বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচটা যে বেল নিজেই খেলতে চাননি, এ কথা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন জিদান, 'আমি স্পষ্টভাবে একটা কথা বলে দিতে চাই। যাতে সবার মনে ও গ্যারেথের মনে কোনো ধরনের সন্দেহ না থাকে। প্রথমত, আমি কাউকে অসম্মান করিনি। আমি সব সময় বলেছি, দলের জন্য খেলোয়াড়েরাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে একজন খেলোয়াড় যত দিন থাকতে চাইবে আমি তাঁর পক্ষে থাকব। দ্বিতীয়ত, আমি বলেছি, ক্লাব চাইছে বেলকে দলে না রাখার জন্য। ব্যস। তৃতীয়ত, বায়ার্নের বিপক্ষে বেল খেলেনি কেননা সে নিজেই খেলতে চায়নি। সে বলেছিল, ক্লাব তাঁকে যেহেতু না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেহেতু সে এই ক্লাবের হয়ে খেলতে চায় না। এ কারণে বেল নিজেই আমাকে বলেছিল, সে খেলতে চায় না। আপনারার বারবার একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন না। সব কথার মূল কথা, সে ক্লাবে থাকছে না। এখন সে ক্লাবের হয়ে অনুশীলন করলেও সে রিয়ালের হয়ে খেলবে না আর। এই পরিস্থিতিতে ক্লাবের যা করার কথা ক্লাব সেটাই করছে। সে স্বাভাবিকভাবেই অনুশীলন করবে। কালকে কি হবে সেটা কালকে দেখা যাবে।'

আপাতত বেলের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে সাংহাই শেনহুয়া ও বেইজিং গুয়ান। রিয়ালে বেলের সাপ্তাহিক বেতন ছয় লাখ পাউন্ড। টাকার এ অঙ্কে বেলকে নিতে আগ্রহী দুই চীনা ক্লাবই। শেনহুয়া বেলকে বর্তমান বেতনের চেয়েও বেশি দিয়ে দলে নিতে আগ্রহী। ওদিকে, বেইজিং গুয়ানে এখন খেলছেন সেড্রিক বাকাম্বু ও রেনাতো অগাস্তোর মতো তারকারা। সেড্রিক বাকাম্বু বেইজিং গুয়ানে সাপ্তাহিক তিন লাখ পাউন্ড বেতন পাচ্ছেন। এই বাকাম্বুর মুখপাত্র আর বেলের মুখপাত্র একই লোক, জোনাথন বার্নেট। বেলের সামনে সাপ্তাহিক এক মিলিয়ন পাউন্ড বেতনের একটা প্রস্তাব রেখেছে বেইজিং গুয়ান, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। বেইজিং গুয়ানে বেল গেলে তাই অবাক হওয়ার কিছুই নেই।