দল বিশ্বাস করে তারা ভালো ফিল্ডিং করতে পারে

থিসারা পেরেরার এ ক্যাচটি সৌম্য সরকার ধরতে পারলেও ম্যাচে ভালো ফিল্ডিং করতে পারেনি দল। ছবি: এএফপি
থিসারা পেরেরার এ ক্যাচটি সৌম্য সরকার ধরতে পারলেও ম্যাচে ভালো ফিল্ডিং করতে পারেনি দল। ছবি: এএফপি
>বিশ্বকাপে ভালো ফিল্ডিং করতে পারেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও বাজে ফিল্ডিং করেছে দল। এ নিয়ে চিন্তার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও অন্তর্বর্তীকালীন কোচ খালেদ মাহমুদ

বিশ্বকাপ থেকেই চলছে আলোচনা। আলোচনাটা ফিল্ডিং নিয়ে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের চেয়ে বাজে ফিল্ডিং করেছে মাত্র একটি দল। সে ভূত এখনো ছাড়েনি বাংলাদেশকে। কাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেও দেখা গেল দৃষ্টিকটু সব ভুল।

বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ও কোচ এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা লুকাননি। সরাসরিই বলেছেন, তারা এ নিয়ে চিন্তিত। যদিও তাদের দাবি, বাংলাদেশ দলের এর চেয়ে ভালো করার কথা। কারণ বাংলাদেশ আসলে ফিল্ডিংয়ে ভালো দল।

তামিম ইকবাল যেমন বলছেন, দলের সেরা ফিল্ডাররাই নাকি বাজে ফিল্ডিং করছে। এটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে ব্যাপারটা দক্ষতার নয়, ‘সত্যি কথা হচ্ছে, আমরা যতটা বাজে ফিল্ডিং করছি, ততটা বাজে ফিল্ডিং দল আমরা না। যেটা সবচেয়ে হতাশার, ফিল্ডিংয়ে যে ভুল হচ্ছে, সেগুলো কিন্তু খুব ভালো ফিল্ডাররাই করছে। আমরা আসলে এর চেয়ে অনেক ভালো ফিল্ডিং সাইড। আগে আমরা ভালো ফিল্ডিং করেছি, আমাদের অনেক ভালো ফিল্ডার আছে।’

কালও বেশ কিছু বাউন্ডারি হয়েছে যেখানে ফিল্ডার একটু সচেতন হলেই এড়ানো যেত। মাহমুদউল্লাহ হাতে নিয়েও ক্যাচ ফেলেছেন। অনেক সময় লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা এক রানের বদলে দুই রান নিয়েছেন ফিল্ডারদের ক্ষিপ্রতার অভাবে। সিরিজে ফিরতে চাইলে তাই খুব দ্রুত উন্নতি করার সত্যটা স্বীকার করে নিলেন তামিম, ‘আজ অন্তত ১০/১৫ রান দিয়েছি বাজে ফিল্ডিংয়ে। খেলা শেষে এ ১০/১৫ রান খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। এ জায়গায় খুব দ্রুত উন্নতি করতে হবে। ব্যাটিং-বোলিংয়ে অনেক সময় অনেক কিছু হাতে থাকে না। ব্যাটিংয়ে খুব ভালো বল আসতে পারে, ভালো বলে চার হতে পারে। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে চাইলেই ভালো করা যায়।’

চাইলেই যে উন্নতি করা যায় সেটি মানেন কোচ খালেদ মাহমুদও। আজ তামিম যখন নিজের ব্যাটিং আরেকটু শাণিয়ে নিতে এসেছিলেন, তখনো মাহমুদকে বলতে হলো ফিল্ডিং নিয়ে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে দলের পিঠ যে দেয়ালে ঠেকে গেছে সেটা জানেন কোচ। আর জানেন বলেই খুব দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর ইচ্ছের কথাও জানিয়েছেন, ‘এটা অবশ্যই চিন্তার জায়গা। এটা তো টেকনিকের বিষয় না যে টেকনিকে পরিবর্তন আনব। মাঠে ছেলেরা কেমন আচরণ করছেন, কতটুকু মনোযোগী। ওরা যখন প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে তখন আরেকটু আত্মবিশ্বাসী থাকলে ভালো হয়। কিছু মিস ফিল্ডিং করেছি। কিন্তু আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব বলে বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি, কাল যেমন করেছি আমরা তার চেয়ে ভালো ফিল্ডিং দল।’

মাঠে এখন সেটা প্রমাণের পালা।