এক সপ্তাহে দুই বিশ্ব রেকর্ড হাতছাড়া করলেন ফেল্প্স

রেকর্ড হারিয়েও সন্তুষ্ট ফেল্‌প্‌স। ছবি: এএফপি
রেকর্ড হারিয়েও সন্তুষ্ট ফেল্‌প্‌স। ছবি: এএফপি
>

দক্ষিণ কোরিয়ায় চলমান বিশ্ব অ্যাকুয়াটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে সাঁতারের দুটি বিশ্ব রেকর্ড হারিয়েছেন সাবেক আমেরিকান সাঁতারু মাইকেল ফেল্‌প্‌স। ১০০ মিটার বাটারফ্লাই ও ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ের দুটি রেকর্ড হাতছাড়া করেছেন তিনি।

সাঁতার ছেড়েছেন সেই তিন বছর আগে। তাও সাঁতারের কথা উঠলেই চলে আসে মাইকেল ফেল্‌প্‌সের নাম। যেমনটা হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ব অ্যাকুয়াটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে। এই প্রতিযোগিতায় দুটি রেকর্ড হারিয়েছেন ফেল্‌প্‌স। ১০০ মিটার বাটারফ্লাই ও ২০০ মিটার বাটারফ্লাইতে ফেল্‌প্‌সের দুটি রেকর্ড ভেঙেছেন যথাক্রমে আমেরিকান সাঁতারু কেলেব ড্রেসেল ও হাঙ্গেরিয়ান সাঁতারু ক্রিস্তফ মিলাক।

অলিম্পিক ইতিহাসে অংশগ্রহণকারী ১৬১ দেশের চেয়ে বেশি পদক ফেল্‌প্‌সের একারই আছে। সাধে তো আর তাঁকে ইতিহাসের সেরা সাঁতারু বলা হয় না! পদকগুলো জেতার পথে বিশ্ব রেকর্ডও করেছেন ভূরি ভূরি। তাঁর এমনই দুটি রেকর্ড ছিল ১০০ মিটার বাটারফ্লাই ও ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে। ২০০৯ সালে রোমের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ফেল্‌প্‌স ২০০ মিটার বাটারফ্লাই শেষ করতে যখন মাত্র ১ মিনিট ৫১.৫১ সেকেন্ড সময় নিলেন, আদৌ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে কেউ এই রেকর্ড ভাঙতে পারবে বলে মনে হয়নি। কিন্তু এক দশক পর ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ দেখালেন, অধ্যবসায়ের সঙ্গে পরিশ্রম যোগ করলে অসম্ভব বলে কিছুই থাকে না। হাঙ্গেরির ক্রিস্তফ মিলাক ইতিহাসের প্রথম সাঁতারু হিসেবে ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ের রেকর্ডটা নামিয়ে আনলেন ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে। সাঁতার শেষ করতে তাঁর লেগেছে ১ মিনিট ৫০.৭৩ সেকেন্ড। ভাবা যায়!

মিলাকের এই অর্জনে গর্বিত হয়েছেন ফেল্‌প্‌স নিজেও, ‘খুব স্বাভাবিকভাবেই রেকর্ডটা হারিয়ে আমার একটু কষ্ট হয়েছে। কিন্তু যেভাবে রেকর্ডটা ভাঙা হয়েছে, ছেলেটার টেকনিকে আমি মুগ্ধ। শেষ ১০০ মিটারে ছেলেটা সাঁতরেছে দুর্দান্ত। একদম প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অসাধারণভাবে সাঁতরে গেছে ছেলেটা।’ মিলাকের এই অর্জনের পেছনে যে কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ভূমিকা রয়েছেন, সেটা স্বীকার করেছেন ইতিহাসের সেরা এই অলিম্পিয়ান, ‘এই রেকর্ডটা ভাঙা সম্ভব হয়েছে, কেননা এই ছেলেটা রেকর্ডটা ভাঙতে চেয়েছিল। স্বপ্ন দেখেছিল এমন এক অর্জনের। যে বুঝেছিল এই রেকর্ড ভাঙতে হলে কী কী করতে হবে। এই রেকর্ড ভাঙতে হলে যে ধরনের টেকনিক অনুসরণ করা দরকার, যতটুকু পরিশ্রম করা দরকার, সে সব করেছে। ওকে আমার পক্ষ থেকে টুপিখোলা সম্মান জানাই।'

শুধু মিলাকই নন, এই প্রতিযোগিতায় আমেরিকান সাঁতারু কেলেব ড্রেসেলও ভেঙেছেন ফেন্‌প্‌সের আরেকটি রেকর্ড। ১০০ মিটার বাটারফ্লাই সাঁতরাতে ড্রেসেল সময় নিয়েছেন ৪৯.৫০ সেকেন্ড। ২০০৯ সালের রোম বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ফেল্‌প্‌স যেখানে সময় নিয়েছিলেন ৪৯.৮২ সেকেন্ড।

এখন সবেধন নীলমণি হিসেবে ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত রিলের বিশ্ব রেকর্ডটাই আছে ফেল্‌প্‌সের দখলে। কে জানে, কবে না জানি সেটাও ভেঙে দেয় কেউ!