বার্সাকে নিজের জাত চেনালেন তরুণ পেরেজ

জোড়া গোল করেছেন কার্লেস পেরেজ। ছবি : টুইটার
জোড়া গোল করেছেন কার্লেস পেরেজ। ছবি : টুইটার
>

জাপানি ক্লাব ভিসেল কোবের সঙ্গে গতকাল ২-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। জোড়া গোল করে ‘লা মাসিয়া’র তরুণ কার্লেস পেরেজ জানিয়ে দিয়েছেন, অযথা স্ট্রাইকারের পেছনে টাকা খরচ না করে বার্সেলোনা চাইলেই তাঁর ওপর ভরসা রাখতে পারে।

শিরোনাম দেখে চমকানোর কিছু নেই। এই পেরেজ সেই ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ না, যার কথায় বার্সেলোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ওঠে-বসে। এই পেরেজ বার্সেলোনার। বার্সেলোনার একাডেমি লা মাসিয়ার চরম দুর্দিনে আশার আলো হয়ে এসেছেন এই তরুণ। গতকাল এই তরুণের জোড়া গোলেই জাপানি ক্লাব ভিসেল কোবে কে ২-০ গোলে হারিয়েছে বার্সা।

প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকার দ্বিতীয়ার্ধে গা-ঝাড়া দিয়ে ওঠে বার্সা। ৫৯ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার মালকমের সঙ্গে একবার বল দেওয়া-নেওয়া করে ভিসেল কোবির গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁক দিয়ে নাটমেগ করে প্রথম গোলটা করেন পেরেজ। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে লা মাসিয়ার আরেক তরুণ গিলেম হাউমের মাটিঘেঁষা ক্রস নিজের আয়ত্তে এনে ডি-বক্সের মধ্যে দুর্দান্ত এক শটে পাকা গোলশিকারির মতো দ্বিতীয় গোল করেন পেরেজ। বেঞ্চে থাকা বার্সা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দেকেও কি অনুচ্চারে একটা বার্তা দিয়ে দিলেন না?

প্রথমার্ধে খেলেছিলেন বার্সার নতুন তারকা আতোয়াঁ গ্রিজমানও। গোল করতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ পেয়েই জাত চিনিয়েছেন পেরেজ। ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই বেশ সন্তুষ্ট এই তরুণ, ‘বার্সেলোনার জার্সি গায়ে প্রথম গোল করতে পেরে আমি বেশ আনন্দিত। আরও খুশি হয়েছি জোড়া গোল করতে পেরে। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখছি এই মহান ক্লাবটার হয়ে গোল করার। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। আমাকে যতটুকু সুযোগ দেওয়া হবে, তাঁর পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে এসেছি এখানে। বর্তমানে আমি বার্সা “বি” দলের খেলোয়াড়, জানি না ভবিষ্যতে কী হবে না হবে। তবে চাইব দ্রুতই যেন মূল দলের হয়ে নিয়মিত খেলতে পারি।’

আর পেরেজ যদি বার্সার মূল দলের হয়ে নিয়মিত খেলতে পারেন, সেটা বার্সার জন্যই মঙ্গল। মূল স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজের বয়স হয়ে যাচ্ছে। মাঠে হাস্যকর সব মিস করে মাঝে মাঝেই বোঝান যে গোলমুখে সেই ক্ষিপ্রতা আর নেই তাঁর। সুয়ারেজের বিকল্প স্ট্রাইকার হিসেবে গত এক-দুই বছরে খেলে গেছেন কেভিন-প্রিন্স বোয়াতেং, মুনির এল হাদ্দাদির মতো খেলোয়াড়েরা। লাভ হয়নি। কিছুদিন আগেও ক্রিস্টিয়ান স্টুয়ানি, ওদিওন ইগহালো, ম্যাক্সি গোমেজের মতো স্ট্রাইকারের দিকে হাত বাড়িয়েছিল বার্সা। কার্লেস পেরেজ এভাবে কোচের আস্থার প্রতিদান দিতে পারলে বার্সারও অতিরিক্ত টাকা খরচ করার দরকার পড়ে না!