মুশফিকের ব্যাটে বাংলাদেশ ২৩৮

প্রদীপের ইয়র্কারে ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি তামিম। এরপর বেশিক্ষণ টিকতেও পারেননি এ ওপেনার। ছবি: এএফপি
প্রদীপের ইয়র্কারে ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি তামিম। এরপর বেশিক্ষণ টিকতেও পারেননি এ ওপেনার। ছবি: এএফপি
>কলম্বোয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ

সেঞ্চুরি করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। কিন্তু তাঁর ইনিংসের ওপর ভর করে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৮ রান করেছে বাংলাদেশ।  

উইকেটে দুই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান দেখে শুরুটা ডান হাতি অফ স্পিনার ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে দিয়ে করিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। কিন্তু এ স্পিনারকে তাঁর প্রথম স্পেলে হতাশ করেছে বাংলাদেশ। খুশি করেছে পেসারদের। ৩১ রান তুলতেই ফিরেছেন দুই ওপেনার। দুটি উইকেটই পেয়েছেন দুই লঙ্কান পেসার। এরপর অবশ্য একে একে ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমান। আউটের মিছিলে সবশেষ সংযোজন মোসাদ্দেক হোসেন।  এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৪ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ।

আউট হওয়ার ধরনও বেশ দৃষ্টিকটু। দেখেশুনে শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। একটু বেশিই সাবধানি ছিলেন হয়তো। চতুর্থ ওভারে নুয়ান প্রদীপকে দুর্দান্ত এক শটে চারও মেরেছিলেন সৌম্য। কিন্তু তাঁর পরের ওভারেই আউট হন ফুল টস ডেলিভারিতে, এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে। ১৩ বলে ১১ রান করা সৌম্য বেশ কিছুদিন ধরেই ভুগছেন রানখরায়। এ নিয়ে টানা ১০ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই সৌম্যর। তিনে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও (১২) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তাঁকে তুলে নিয়েছেন আকিলা ধনঞ্জয়া। মাহমুদউল্লাহকেও (৬) বোল্ড করেছেন এ স্পিনার। ইসুরু উদানার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন মোসাদ্দেক।

২৫তম ওভারে মুশফিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সাব্বির (১১)। তবে তামিমের (৩১ বলে ১৯) আউটটি সৌম্যর চেয়েও দৃষ্টিকটু। ইসুরু উদানার করা অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিটি স্কয়ার কাট করতে চেয়েছিলেন এ ওপেনার। খেলতে গিয়ে বল টেনে এনেছেন উইকেটে। বিশ্বকাপেও ঠিক এভাবেই দুবার আউট হয়েছেন তামিম। ব্যাটের কানায় বল লেগে স্টাম্প ভেঙেছে। তখন তামিমের চাহনি দেখেও মনে হয়েছে তাঁর মন ভেঙে গেছে। এ নিয়ে টানা ছয় ম্যাচে বোল্ড আউট হলেন তামিম। এতবার নিজের স্টাম্প বাঁচাতে ব্যর্থ হলে হতাশ হওয়াই স্বাভাবিক।