আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ-সম্মান দুই বাঁচালেন ইমরুলরা

সিরিজ সমতায় শেষ করার স্বস্তিতে বাংলাদেশ ‘এ’ দল
সিরিজ সমতায় শেষ করার স্বস্তিতে বাংলাদেশ ‘এ’ দল
>শেষ ম্যাচে আফগানিস্তান ‘এ’ দলকে ৬২ রানে হারিয়ে সিরিজ হারের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সিরিজ শেষ হয়েছে ২-২ সমতায়।

আফগানিস্তান ‘এ’ দলের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারলে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ত বাংলাদেশ ‘এ’ দল। শেষ পর্যন্ত সিরিজ হারের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল। আজ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে আফগানদের ৬২ রানে হারিয়ে ২-২ সমতায় সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জাতীয় দল। সিরিজের একটি ওয়ানডে অবশ্য ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে।

বিকেএসপিতে নাঈম শেখের সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ২৬২ রান তুলেছিল বাংলাদেশ ‘এ’। স্কোরটা মন্দ নয়। কিন্তু আফগানদের ব্যাটিং-শক্তি নিয়ে দুর্ভাবনা ছিল। এ সিরিজেই একটি ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া টার্গেট হেসেখেলে পেরিয়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু আজ তেমনটি হয়নি। হতে দেননি ইয়াসিন আরাফাত। তিনি ৩ উইকেট তুলে নিলে আফগানিস্তান ‘এ’ ৪৫.১ ওভারে ২০০ রানেই গুটিয়ে যায়।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের পথে নিয়ে যান নাঈম ও আফিফ হোসেন। চতুর্থ উইকেটে ১০৯ রানের জুটি গড়েন তারা দুজন। আফিফ ৫৩ রানে থেমে গেলেও রান আউট হওয়ার আগে ১২৬ রানে বড় ইনিংস খেলেছেন নাঈম। লিস্ট ‘এ’ তে এটি তাঁর চতুর্থ সেঞ্চুরি। তবে এ দুজন ছাড়া ব্যাটিংয়ের দৈন্য দিকটা কিন্তু বেরিয়ে এসেছে। দুই অঙ্কের সংগ্রহ মাত্র দুজনের— ইমরুল কায়েস (২১) ও আমিনুল ইসলাম (২২)।

৪২.৫ ওভারেও স্কোর বোর্ডে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান ছিল ২০৯। বড় সংগ্রহ অনায়াসেই হয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মিডল অর্ডার ও লোয়ারের অর্ডারের ব্যর্থতায় ২৬২ রানে থামতে হয়। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট করিম জান্নাতের—৪ উইকেট। অবশ্য ১০ ওভারে ৭৩ রান দিয়েছেন এই পেসার।

২৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামলে ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। মাত্র ৫ রান করে আবু জায়েদের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরান। ম্যাচে এই একটি উইকেটই পেয়েছেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে থাকা জায়েদ। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৭৪ রানে শহীদ কামাল (১৪) ফিরে যান। এর পরে যাওয়া আসার মিছিল। পরের ১২ রান তুলতে আরও ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান ‘এ’। শেষ দিকে শরাফউদ্দিন আশরাফ ৩৫ ও মিরউইয়াজ আশরাফ ২৩ রান করলে পরাজয়ের ব্যবধানটা কমে। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন ওপেনার রাহমানুল্লাহ গারবাজ। বাংলাদেশ পক্ষে ইয়াসিনের ৩ উইকেট ছাড়াও ২টি করে উইকেট শফিকুল ইসলাম ও আমিনুলের।