একাধিক প্রেম, প্রতারণার অভিযোগ স্বীকার ইমামের

ইমাম-উল হক। ফাইল ছবি
ইমাম-উল হক। ফাইল ছবি

প্রেমের মাঠেও তাঁর স্কোরটা ভালো! একেবারে ডাবল-ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে চলেছেন একেক ইনিংসে। পাকিস্তানের নতুন তারকা ইমাম-উল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, একই সঙ্গে একাধিক নারীর সঙ্গে প্রণয়ে জড়ানোর। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হইচই শুরু হয়ে গেলে ইমামের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ইমাম নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল হবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন।

পিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিম খান বলেছেন, ‘ইমাম খুবই অনুতপ্ত। যা হয়েছে এর জন্য সে ক্ষমা চেয়েছে, সে সব স্বীকারও করেছে। ও বলেছে, ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে। কিন্তু আমরা ওকে পরিষ্কার করে বলেছি, এটা হয়তো ওর একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমরা আশা করি আমাদের খেলোয়াড়েরা নৈতিকতা ও শৃঙ্খলার সর্বোচ্চটাই মেনে চলবে।’

পাকিস্তানি কিংবদন্তি ইনজামাম-উল হকের ভাতিজা ইমাম ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশেষ করে নজর কেড়েছেন। ৩৬ ম্যাচে ৭ সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটিতে প্রায় ৫৫ গড়ে ১৬৯২ রান করে ফেলেছেন। দেখতে সুদর্শন ইমামের প্রতি নারী ভক্তেরা আকৃষ্ট হতেই পারেন। কিন্তু ইমাম নাকি এর ফায়দা লুটেছেন। সামাজিক মাধ্যমে এমনই একটা অভিযোগ উঠলে বেশ হইচই পড়ে যায়।

একাধিক নারী অভিযোগ করেছেন ইমাম তাদের সঙ্গে প্রেমের ভান করেছেন, রোমান্টিক চ্যাট হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে, কখনো ইমাম পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছেন, নারীদের কাছে স্পর্শকাতর ছবি চেয়েছেন। ইমামের সঙ্গে সেই নারীদের চ্যাটের স্ক্রিনশট তুলে ধরে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে, ‘দেখে মনে হচ্ছে ইমাম ৭-৮ জন নারীর সঙ্গে প্রেম করতেন, তাদের ব্যবহার করতেন। তিনি তাদের সব সময়ই বলেছেন তিনি কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে নেই। এখানে এক মেয়ের স্ক্রিনশট দিয়ে দেওয়া হলো।’

তবে ইমামের পক্ষেও কেউ কেউ অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, শুধু ইমামের স্পর্শকাতর কথার অংশ কেন স্ক্রিনশট দেওয়া হবে। ওই পক্ষের তরফেও কী কী স্পর্শকাতর কথা হয়েছে, সে সবও এখন সবার সামনে আনা উচিত। একজনের দাবি, এটা কোনো অর্থেই হ্যাশট্যাগমিটুর আওতায় পড়ে না, ‘কবে থেকে কারও সঙ্গে ডেট করা বা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে না করা হ্যাশট্যাগমিটুর অংশ হয়ে গেল? আমি এখানে কোনো কথায় দেখছি না যে ইমাম কাউকে যৌন উত্যক্তমূলক কিছু করেছে বা সে রকম ছবি চেয়েছে। দুই পক্ষের সম্মতিতেই যখন কিছু হয়, সেটিকে ব্যবহার করে শুধু একজনকে অপমান করা বন্ধ করুন। এতে করে আসল ভুক্তভোগীদের দাবিও হালকা করে দেখার চল শুরু হয়ে যাবে, তারা প্রাপ্য সাহায্য তখন পাবে না।’

তবে ইমাম যে অন্যায় কিছু করেছেন, তা তাঁর ক্ষমা চাওয়া থেকে পরিষ্কার। পিসিবি এই যাত্রা ইমামকে ক্ষমাও করে দিচ্ছে। তবে ভবিষ্যতের ব্যাপারে সাবধান বাণীও শুনিয়েছেন ওয়াসিম খান, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকা ক্রিকেটাররা আরও বেশি দায়িত্বশীল পরিচয় দেবেন বলে আমরা আশা করি। কারণ তারা পাকিস্তানের ক্রিকেট ও পাকিস্তানের দূত হিসেবে কাজ করেন। আশা করি আমরা ভবিষ্যতে আর এ ধরনের কিছু দেখব না।’