ধর্ষণের মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন নেইমারও

হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন নেইমার! ছবি : এএফপি
হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন নেইমার! ছবি : এএফপি
>পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্য প্রমাণ না থাকার কারণে নেইমারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে ব্রাজিল পুলিশ।

হাজারো নেতিবাচক খবরের ভিড়ে এই একটা খবরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন নেইমার। ব্রাজিল তারকার বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে সাও পাওলোর পুলিশ। ব্রাজিলের আইনি সংস্থা এবং পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করেছে প্রায় এক মাস ধরে। অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ না থাকায় মামলাটি খারিজ করা হয়েছে বলে সাও পাওলোর অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস জানিয়েছে।

পুলিশের এই সিদ্ধান্ত আজ প্রসিকিউটরদের কাছে পাঠান হবে। আগামী দুই সপ্তাহ ধরে বিচার-বিশ্লেষণ করে তাঁরা দেখবেন স্থায়ীভাবে এই মালা খারিজ করে দেওয়া যায় কি না। মামলার চূড়ান্ত রায় দেবেন একজন বিচারক। নিজেদের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর জন্য আজ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে সাও পাওলোর পুলিশ বিভাগ। এদিকে নেইমারের এই মুখপাত্র জানিয়েছেন, মামলা খারিজের ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে চান না তাঁরা।

কিছুদিন আগে পর্তুগালের তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও এক ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। গত বছর রোনালদোর বিরুদ্ধে যে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছিল, সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ার কারণে সে অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে। নেইমারের মামলাও একই দিকে যাচ্ছে।

ব্রাজিল পুলিশের মামলার নথি অনুযায়ী, গত মে মাসে প্যারিসে নাহিলা ত্রিনদাদে নামের এক নারীকে ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে নেইমারের বিরুদ্ধে। ঘটনার শিকার হওয়া নারী নিজেই এ অভিযোগ করেছেন। তবে প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা। নেইমারের বাবাও দাবি করেছিলেন, ঘটনাটি ‘সাজানো’। তাঁর ভাষ্য, অভিযোগকারী নারীর সম্মতিতেই তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল নেইমারের। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর সেই নারীর আইনজীবী এখন নেইমারকে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করছেন।

ব্রাজিলের একটি টিভি চ্যানেলকে কিছুদিন আগে নেইমার সিনিয়র বলেন, ‘সময়টা কঠিন। দ্রুত সত্য জানাতে না পারলে এটা আরও বড় হবে। সেই নারীর সঙ্গে নেইমারের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা প্রকাশের প্রয়োজন হলে আমরা তা করব।’ নেইমারের তরফ থেকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে কোনো জোর ছিল না, দুজনের সম্মতিতেই তা হয়েছে বলেই দাবি। এর সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণও আছে বলে তখন নেইমারের বাবা মন্তব্য করেন।

গত মাসে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে সেই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা নিয়ে হাজির হন নেইমার নিজে। সাত মিনিটের ভিডিওতে নেইমার দেখান, নাহিলা ত্রিনদাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর কী কী কথাবার্তা হতো। সেই নারীর সম্মতি ছাড়াই এভাবে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা ফাঁস করার মাধ্যমে আরেকটি আইন ভঙ্গ করেন নেইমার। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা নিয়ে নেইমারকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছিল ব্রাজিল পুলিশ।

পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে নেইমারের বিপক্ষে কোনো তথ্য প্রমাণ না পাওয়ার ব্যাপারে অভিযোগকারী নারী বলেছেন, ‘পুলিশ আর বিচারক সবাইকে নেইমার টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে। এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। আমি তো আর পাগল নই, বুঝি সবই।’ নেই নারী বলেছেন, লড়াইটা এখন তাঁর একার। অন্যদিকে সবাই। এই লড়াই তিনি চালিয়ে যাবেন।