কাশির ওষুধ খেয়ে নিষিদ্ধ এই ভারতীয় ক্রিকেটার

ভারতের তরুণ টেস্ট ওপেনার পৃথ্বী শ। ছবি: এএফপি
ভারতের তরুণ টেস্ট ওপেনার পৃথ্বী শ। ছবি: এএফপি
>

মূত্র নমুনায় নিষিদ্ধ টারবুটালিন থাকায় পৃথ্বী শ-কে প্রায় আট মাস নিষিদ্ধ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড

ডোপ নিয়ে ধরা পড়ে এ বছরের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত নিষিদ্ধ হয়েছেন ভারতের ১৯ বছর বয়সী টেস্ট ওপেনার পৃথ্বী শ। এ বিবৃতিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানিয়েছে, ‘পৃথ্বী অসাবধানতাবশত একটি নিষিদ্ধ উপাদান গ্রহণ করেছেন, যা সাধারণত কাশির সিরাপে পাওয়া যায়।’

কোমরে চোট পাওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারতীয় দলে সুযোগ পাননি পৃথ্বী। নিষেধাজ্ঞার জন্য অক্টোবরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ও ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টেও খেলার সুযোগ পাবেন না পৃথ্বী। বিসিসিআইয়ের ডোপবিরোধী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ২২ ফেব্রুয়ারি নিজের মূত্র নমুনা সরবরাহ করেছিলেন পৃথ্বী। তাঁর নমুনায় টারবুটালিন ধরা পড়েছে। বিসিসিআই বিবৃতিতে বলেছে, ‘ওয়াডার (ডব্লিউএডিএ) নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে টারবুটালিন।’ এ ধরনের নিষিদ্ধ উপাদান যে ওষুধে থাকে, তা যদি কোনো খেলোয়াড় গ্রহণ করতে বাধ্য হন, তাহলে সেটির অনুমোদন থাকতে হবে। পৃথ্বীর কাছে এ ধরনের কোনো কিছু ছিল না।

বিসিসিআইয়ের ডোপবিরোধী নীতিমালায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পৃথ্বী। প্রতিভাবান এ ব্যাটসম্যান নিজের ভুল স্বীকারও করেছেন। কাশির জন্য অসাবধানতাবশত তিনি ওষুধটি নিয়েছিলেন এবং এর সঙ্গে পারফরম্যান্স বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছেন ভারতের হয়ে ২ টেস্ট খেলা এ ব্যাটসম্যান। বিসিসিআই পৃথ্বীর ব্যাখ্যায় ‘সন্তুষ্ট’ হয়ে বলেছে, ‘পারফরম্যান্স বাড়াতে নয়, শ্বাসকষ্টের জন্য না জেনেই টারবুটালিন নিয়েছেন’ পৃথ্বী। তবে শাস্তি এড়াতে পারছেন না তিনি। বিসিসিআই তাঁকে ১৬ মার্চ থেকে ১৫ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত প্রায় আট মাস নিষিদ্ধ করেছে। বিসিসিআইয়ের ডোপবিরোধী ধারা অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা শেষে রাজ্য দল কিংবা বিসিসিআইয়ের অধীনস্থ কোথাও অনুশীলনে ফিরতে পারবেন পৃথ্বী।

২০১৮ সালের অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেন পৃথ্বী। পরের টেস্টে ফিফটি তুলে নেন।