প্রতিবাদী মেসিকেই বেশি পছন্দ ম্যারাডোনার

আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ছবি: টুইটার
আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ছবি: টুইটার
>কোপা আমেরিকায় দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে (কনমেবল) ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে তিন মাস নিষিদ্ধ হয়েছেন লিওনেল মেসি। এ টুর্নামেন্টে অফিশিয়ালদের বিপক্ষে ভীষণ সোচ্চার ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। মেসির এ প্রতিবাদী চরিত্র মনে ধরেছে ডিয়েগো ম্যারাডোনার। এমন মেসিকেই তাঁর পছন্দ

কোপা আমেরিকায় দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে (কনমেবল) ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলেছেন লিওনেল মেসি। এ টুর্নামেন্টে অফিশিয়ালদের বিপক্ষে ভীষণ সোচ্চার ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। সে জন্য শাস্তিও পেয়েছেন। তিন মাস নিষিদ্ধ হয়েছেন আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে। তবু এই প্রতিবাদী মেসিকেই বেশি পছন্দ ডিয়েগো ম্যারাডোনার। মেসির এমন রূপ তাঁকে নিজের খেলোয়াড়ি জীবন মনে করিয়ে দেয়।

হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করাতে ম্যারাডোনার সময় কাটছে এখন হাসপাতালে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি সেখানেই এ নিয়ে কথা বলেছেন আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। ‘ম্যারাডোনার মানসিকতায় মেসি—তাকে দেখে আমার এমনটাই মনে হয়েছে। আরও বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে, যেটা মনে করেছে সেটাই বলেছে এবং মাঠে জিতেছে কারও সঙ্গে পাতানো খেলা ছাড়াই’—বলেন ম্যারাডোনা।

গত কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হার ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলির বিপক্ষে জয়ের পর কনমেবল অফিশিয়াল ও সদস্যদের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন মেসি। মেসি দাবি করেছিলেন, স্বাগতিক ব্রাজিলের হাতে শিরোপা তুলে দেওয়ার জন্য সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টাই করছে কনমেবল। আর সেমির পরে এসব কথা বলেছিলেন দেখেই পরের ম্যাচে (চিলির বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী) লাল কার্ড দেখানো হয়েছে—এমন দাবিও করেছিলেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এ ফুটবলার। পরে অবশ্য নিজ আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন।

মেসিকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের প্রতি পরোক্ষ খোঁচাও মেরেছেন ম্যারাডোনা। ‘কারও সঙ্গে পাতানো খেলা ছাড়াই’—কথাটি তো ব্রাজিলের উদ্দেশেই? নিজের খেলোয়াড়ি জীবনে ম্যারাডোনাও কম বিদ্রোহী ছিলেন না। ক্লাব কর্মকর্তা থেকে ফিফা, কাউকে কখনো ছেড়ে কথা বলেননি। অবসর নেওয়ার পরও ফিফার নানা ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন ম্যারাডোনা। মেসিকে তেমন প্রতিবাদী হিসেবে দেখে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি বেশ খুশিই হয়েছেন, ‘জাতীয় সংগীত না গাওয়ার জন্য সবাই যে মেসির সমালোচনা করে তার চেয়ে এ মেসিকেই আমার বেশি পছন্দ। মেসি যা কিছুই করুক তাতে আর্জেন্টিনারই লাভ।’

অবশ্য নিষিদ্ধ হয়ে আর্জেন্টিনার কোনো উপকার করতে পারছেন না মেসি। চিলির বিপক্ষে সে ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় মেসি এরই মধ্যে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন। মার্চে দক্ষিণ আমেরিকা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচটা তিনি খেলতে পারবেন না। তিন মাস নিষিদ্ধ হওয়ায় সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে চিলি, মেক্সিকো এবং জার্মানির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও খেলতে পারবেন না। ৫ সেপ্টেম্বর লস অ্যাঞ্জেলসে চিলির মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। পাঁচ দিন পর সান আন্তোনিতে তাঁদের প্রতিপক্ষ মেক্সিকো। জার্মানির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ৯ অক্টোবর ডর্টমুন্ডে।