'ঈশ্বর ভারতীয় ক্রিকেটকে রক্ষা করুন'

ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড়। ফাইল ছবি
ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড়। ফাইল ছবি
>ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির (এনসিএ) প্রধান রাহুল দ্রাবিড়কে নোটিশ পাঠিয়েছে বিসিসিআই। এতে চটেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি

আইপিএলে দৃশ্যটি বেশ পরিচিত। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির ডাগআউটে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট তারকাদের দেখা যায় বিভিন্ন ভূমিকায়। কেউ মেন্টর, আবার কেউ কোচিং কিংবা সাংগঠনিক দায়িত্বে। বছরের বাকি সময় তাদের বেশির ভাগই কাজ করেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বেতনভুক্ত হিসেবে। যেমন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড়ের কথাই ধরুন, দেশের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি (এনসিএ) প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি ইন্ডিয়া সিমেন্টস গ্রুপের সহসভাপতি—এ প্রতিষ্ঠানটি আবার আইপিএল দল চেন্নাই সুপার কিংসের কর্ণধার। দ্রাবিড়ের এভাবে একাধিক পদে আসীন থাকাকে ‘স্বার্থের সংঘাত’ হিসেবেই দেখছে বিসিসিআই। আর এতেই চটেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি।

সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক অনুমোদিত বিসিসিআইয়ের নতুন নীতিমালা মোতাবেক একজন ব্যক্তি একই সময়ে একটির বেশি পদে থাকতে পারবেন না। বিচারপতি ডিকে জৈনের আদেশে এ সিদ্ধান্ত কার্যকরও হয়েছে। এর আগে শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি ও ভিভিএস লক্ষ্মণকে এ ব্যাপারে নোটিশ দিয়েছিল বিসিসিআই। আইপিএল দলের সঙ্গে থাকা ছাড়াও বিসিসিআইয়ে ক্রিকেট পরামর্শক কমিটিতে ছিলেন সাবেক এ তিন ক্রিকেটার। পরে ওই নোটিশের জন্য কমিটিই ভেঙে যায়। তবে সৌরভ গাঙ্গুলির এ নিয়ে এখন আর কোনো দুঃখ নেই। দ্রাবিড়ের মতো নিপাট ভদ্রলোককে এই নোটিশ পাঠানোতেই খেপেছেন ভারতের সাবেক এ অধিনায়ক।

সৌরভ গাঙ্গুলি ও হরভজন সিংয়ের টুইট। ছবি: টুইটার
সৌরভ গাঙ্গুলি ও হরভজন সিংয়ের টুইট। ছবি: টুইটার

মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমপিসিএ) এক সদস্য অভিযোগ করার পর দ্রাবিড়কে এ নোটিশ পাঠান বিসিসিআইয়ের ন্যায়পাল ও বিচারক ডিকে জৈন। তা জানার পর টুইটারে নিজের ক্ষোভ ঝেড়েছেন সৌরভ, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন ফ্যাশন...স্বার্থের সংঘাত...আলোচনায় থাকার সেরা উপায়...ঈশ্বর ভারতীয় ক্রিকেটকে রক্ষা করুন...বিসিসিআই নৈতিকতা কর্মকর্তার কাছ থেকে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট (স্বার্থের সংঘাত) নোটিশ পেয়েছে দ্রাবিড়।’

শুধু সৌরভ নয়, তাঁর অধীনে খেলা স্পিনার হরভজন সিং-ও চুপ করে থাকেননি। তাঁর টুইট, ‘সত্যি? জানি না এটা কোথায় যাচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেটে তার চেয়ে ভালো মানুষ আপনি আর পাবেন না। এমন কিংবদন্তিদের নোটিশ পাঠানো মানে অপমান করা। ক্রিকেটের ভালোর জন্যই তাদের সেবা প্রয়োজন। আর হ্যাঁ, ঈশ্বর ভারতীয় ক্রিকেটকে রক্ষা করুণ।’