১৪ মাসের সেরাদের দিকে তাকিয়ে

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। ফাইল ছবি
>সামনে দুটি বাছাই পর্ব আছে বাংলাদেশ ফু্টবল দলের—বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই। তারুণ্য নির্ভর দল গঠন করতে চান বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। ১০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করবে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বের ড্রতে খুশি বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গন। তুলনামূলকভাবে কাতার, ওমান, ভারত, আফগানিস্তান প্রতিপক্ষ হিসেবে ভীতি-জাগানিয়া নয় বলেই অনেকে মানছেন। কিন্তু তাদের বিপক্ষে খেলেই জামাল ভূঁইয়াদের তা প্রমাণ করতে হবে! অথচ এখনো বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে ধোঁয়াশা। প্রতিপক্ষ দলগুলো যখন প্রস্তুতি পর্ব শুরু করতে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশ দলও ঘোষণা করতে পারেনি।

১০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করবে বাংলাদেশ। ম্যাচটির জন্য বাংলাদেশের দল কেমন হতে পারে, জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কোচ জেমি ডেকে। শুধু আফগানিস্তান ম্যাচের কথা না ভেবে পুরো বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ওপর চোখ রেখে তারুণ্য নির্ভর দল গঠন করতে চান জেমি, ‘একটা তারুণ্য নির্ভর দল গঠন করতে চাই। যারা শেষ ১৪ মাসে প্রতিটা ম্যাচে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। তারাই শুধু বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলার আশা করে।’ ইংল্যান্ড থেকে প্রথম আলোকে জানান জেমি।

জেমির সেই তরুণেরা কারা হবেন, তা ঈদের আগেই দল ঘোষণার মাধ্যমে জানাবে বাফুফে। তবে স্পষ্টভাবে তো বলেই দিয়েছেন শেষ ১৪ মাসে প্রতিটি ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দেওয়া তরুণেরাই ঠাঁই পাবেন দলে। সে হিসেবে জেমির অধীনে আগে যারা খেলেছেন, তাদের প্রাধান্যই বেশি থাকবে বলে বোঝা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ মিশনে বাংলাদেশের লড়াইয়ে পুঁজি হতে পারে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ফুটবলাররা। যারা এশিয়ান গেমস ও এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্ব মাতিয়েছেন।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু করতে যাওয়া মানেই খাতা কলমে টিকে আছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা। যদিও সেখানে পা রাখা বাংলাদেশের ফুটবলারদের কাছে ‘ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার মতো! তাই বাছাইপর্বটাকে তরুণদের অভিজ্ঞতা অর্জনের মঞ্চ হিসেবে নিচ্ছেন জেমি, ‘তরুণদের জন্য বাছাইপর্বটা হবে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা অর্জনের মঞ্চ। আমি অপেক্ষা করছি বড় দলগুলোর বিপক্ষে তরুণ খেলোয়াড়েরা কেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা আছে। মাঝে মাঝে বোমা হামলা হওয়ার কারণে প্রতিপক্ষ দলগুলো আফগানিস্তানে গিয়ে খেলতে আপত্তি তুলেছে। ফলে অন্য দেশে নিজেদের হোম ভেন্যু বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে আফগানিস্তান। প্রথমে কাতারের রাজধানী দোহা বা আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইকে নিজের হোম ভেন্যু হিসেবে চেয়েছিল। ব্যর্থ হওয়ায় এখন তাজিকিস্তান বা ইরানের ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।

যে ভেন্যুতেই খেলা হোক না কেন, ম্যাচটি ১০ তারিখে হওয়া নিয়ে তো আর কোনো সন্দেহ নেই। ম্যাচটিকে সামনে রেখে এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে অনুশীলন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, ‘আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে ক্যাম্প। এর পরে দলকে অনুশীলনের জন্য পাঠানো হবে কাতারে।’