সৌম্যর বাবা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত

>

সাতক্ষীরা জেলায় তিন সপ্তাহে ১৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের বাবাও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আজই ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে তাঁর

বাবার সঙ্গে সৌম্য সরকার। ছবি: সৌম্য সরকারের ফেসবুক পেজ
বাবার সঙ্গে সৌম্য সরকার। ছবি: সৌম্য সরকারের ফেসবুক পেজ

দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে নানা পেশার মানুষ ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত। উৎসবের এই দিনে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের জন্য খারাপ খবর, তাঁর বাবা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। আজই সৌম্যর বাবা অবসরপ্রাপ্ত জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরী মোহন সরকারের ডেঙ্গু ধরা পড়েছে।

ঢাকায় বেশ কিছু দিন থেকে ৭ আগস্ট সাতক্ষীরায় ফিরে গিয়েছিলেন কিশোরী মোহন। গতকাল রাত থেকে জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা শুরু হয় তাঁর। আজ সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁর ডেঙ্গু ভাইরাস ধরা পড়ে। প্লাটিলেট কমে ১ লাখ ৩১ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে। আজ সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

তবে আপাতত শঙ্কার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন কিশোরী মোহন, ‘ঢাকার বাসায় ১০-১২ দিন থাকার পর সাতক্ষীরার বাড়িতে ফিরেছি ৭ আগস্ট। রোববার রাতে জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা করতে থাকে। আজ সকাল ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পরীক্ষার পর ডেঙ্গু ভাইরাস ধরা পড়েছে। প্লাটিলেট কাউন্টও একটু কমে ১ লাখ ৩১ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ডাক্তাররা বলেছেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু ছেলেরা শুনতে চাচ্ছে না। সন্ধ্যার ফ্লাইটে যশোর থেকে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নেব।’

সাতক্ষীরা জেলায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত তিন সপ্তাহে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১১ জন। বর্তমানে সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৩৭ জন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে প্রায় শতকরা ৯০ ভাগই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরায় এসেছে।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. আবু শাহিন জানান, আজ সোমবার পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় ১৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জনের সাতক্ষীরায় থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। অন্যরা সবাই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু নিয়ে ফিরেছে। বর্তমানে সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৩৭ জন। ৯ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১১ জন।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে জনসাধারণের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, র‍্যালি, সাইকেল শোভাযাত্রা, সভা, পথসভাসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।