শাস্ত্রীর ওপরই ভরসা রাখল ভারত

ভারতের বর্তমান কোচ রবি শাস্ত্রী। ছবি: এএফপি
ভারতের বর্তমান কোচ রবি শাস্ত্রী। ছবি: এএফপি
>রবি শাস্ত্রীকেই বিরাট কোহলিদের হেড কোচ হিসেবে ধরে রাখা হলো। নতুন মেয়াদে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন তিনি

ভারতের হেড কোচ হিসেবে থাকছেন রবি শাস্ত্রীই। তাঁর নতুন চুক্তির মেয়াদ ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। আজ সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পাওয়া কোচ পদে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর শাস্ত্রীকেই যোগ্য মনে করছে বিসিসিআই ক্রিকেট পরামর্শক কমিটি (সিএসি)। বিরাট কোহলিদের নিয়ে শাস্ত্রী এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আছেন।

ফিল সিমন্স নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পাঁচ প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন সিএসি। এ কমিটির অপর দুই সদস্য সাবেক কোচ অংশুমান গায়কোয়াড় এবং ভারতের সাবেক নারী অধিনায়ক শান্তা রঙ্গস্বোয়ামি। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কমিটির তিন সদস্য ‘সর্বসম্মতভাবে’ শাস্ত্রীকে কোচ পদে বহাল রাখার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। সিএসি প্রধান কপিল দেব জানিয়েছেন, শাস্ত্রীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক কোচ মাইক হেসন এবং তারপর শ্রীলঙ্কার সাবেক কোচ টম মুডি। সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পাওয়া বাকি দুই প্রার্থী রবিন সিং, লালচাঁদ রাজপুত।

আজ সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর সন্ধ্যায় হেড কোচ হিসেবে শাস্ত্রীকে বহাল রাখার কথা সংবাদ সম্মেলনে জানান ভারতের সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব। ২০১৭ সালে অনিল কুম্বলের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর শাস্ত্রীর মেয়াদ শেষ হয় গত বিশ্বকাপে। এরপর তাঁর মেয়াদ বাড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পাঠানো হয়। শাস্ত্রীকে কোচ পদে রাখার ব্যাপারে আগেই সমর্থন দিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং তাঁর দল। সংবাদমাধ্যমও এর আগে জানিয়েছিল, শাস্ত্রীর মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হতে পারে।

সিএসি সদস্য অংশুমান গায়কোয়াড় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সে (শাস্ত্রী) খেলোয়াড়দের ভালো করে জানে, দলের সমস্যা এবং কীভাবে সমাধান করতে হবে তাও জানে। গোটা প্রক্রিয়া সমন্ধে কেউ যদি জেনে থাকে সে ক্ষেত্রে সে-ই এগিয়ে থাকবে।’ কপিল দেব বলেন, ‘শাস্ত্রী আমাদের বলেছে গত দুই বছরে দল কত উন্নতি করেছে, সমস্যাগুলো কোথায় আর তা সমাধান করতে কী কী সাহায্য লাগবে।’

শাস্ত্রীর অধীনে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে ভারত। তাঁর অধীনে ২১ টেস্ট খেলে ১১ ম্যাচে জিতেছে ভারত। টি-টোয়েন্টিতে ৩৬ ম্যাচে ২৫ জয় আর ওয়ানডেতে ৬০ ম্যাচে পেয়েছে ৪৪ জয়। যদিও এবার বিশ্বকাপ জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে ইংল্যান্ডে গেলেও সেমিফাইনাল থেকেই ছিটকে পড়তে হয়েছে কোহলির দলকে।