এক ম্যাচে ভারতের কত আয় জানেন?

পেটিএমের সঙ্গে চুক্তি করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ছবি: এএফপি
পেটিএমের সঙ্গে চুক্তি করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ছবি: এএফপি
>ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বিশ্বের সবচেয়ে ধনী, এ তো সবাই জানে। প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকেই বিসিসিআইয়ের আয় হয় অঢেল। সম্প্রতি পেটিএমের সঙ্গে টাইটেল স্পনসরশিপের নতুন চুক্তি হওয়ার পর ইন্ডিয়া টুডে ম্যাচপ্রতি ভারতীয় ক্রিকেট দলের আয় বের করেছে

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কোষাগার আরও ফুলে ফেঁপে উঠল। ডিজিটাল অর্থ পরিশোধ প্রতিষ্ঠান পেটিএম আরও চার বছরের জন্য বিসিসিআইয়ের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব ম্যাচের টাইটেল স্পনসরশিপ কিনে নিল। পেটিএমের সঙ্গেই ছিল বিসিসিআইয়ের চুক্তি। নতুন চুক্তিতে আগের চেয়ে প্রতি ম্যাচে ৫৮ শতাংশ বেশি করে আয় করবে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।

২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত চার বছরের এই সময়কালে পেটিএম ৩২৭ কোটি রুপি দেবে বিসিসিআইকে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যেটি প্রায় ৩৮৭ কোটি টাকা। গত বিশ্বকাপে ভারত সবচেয়ে ফেবারিট হয়েও সেমিফাইনালে বিদায় নিয়েছে। তাতেও ক্রিকেটের জনপ্রিয়তায় যে ভাটা নেই, পেটিএমের এই চুক্তি বলে দিচ্ছে। বিসিসিআই এমনিতেই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল দেশটিতে ক্রিকেট এক উন্মাদনার নাম।

২০১৫ সালে চার বছরের জন্য পেটিএম যখন বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে টাইটেল স্পনসরশিপ পায়, প্রতি ম্যাচের পেছনে তাদের খরচ হতো ২ কোটি ৪০ লাখ রুপি। নতুন চুক্তিতে সেটি পৌঁছাল ৩ কোটি ৮০ লাখে।

জার্সির স্পনসরশিপ থেকেও বড় অঙ্কের টাকা আয় করে বিসিসিআই। ২০১৭ সালে ৫ বছরের চুক্তি করেছিল অপ্পো। ম্যাচপ্রতি ৪ কোটি ৬১ লাখ রুপিতে। অপ্পো সেই চুক্তি হস্তান্তর করছে বাইজুর কাছে। এই রদবদলে যে টাকা অপ্পো বাইজুর কাছ থেকে পাবে, তার ৫ শতাংশ আবার যাবে বিসিসিআইয়ের কোষাগারে।

২০১৮ সালে বিসিসিআই ৫ বছরের চুক্তিতে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করেছিল স্টার ইন্ডিয়ার কাছে। প্রতি ম্যাচের জন্য তারা ৬০ কোটি রুপিরও বেশি দিচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে বিসিসিআই ৭০ কোটি রুপির মতো আয় করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ম্যাচে বিসিসিআইয়ের আয় ৮২ কোটি টাকা। এগুলো শুধুই বিসিসিআইয়ের নিজস্ব আয়। আইসিসির আয়ের ভাগের হিসাব এখানে নেই।