২৬ হাজার ৮৮ জনের প্রতিই সোহেলের কৃতজ্ঞতা

সেদিন গোলের পর সোহেলকে (সবার মাঝে ৭ নম্বর জার্সি) ঘিরে সতীর্থদের উল্লাস। ফাইল ছবি
সেদিন গোলের পর সোহেলকে (সবার মাঝে ৭ নম্বর জার্সি) ঘিরে সতীর্থদের উল্লাস। ফাইল ছবি
>এএফসি কাপের আন্ত আঞ্চলিক সেমিফাইনালে উত্তর কোরিয়ার ক্লাব এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ ক্লাবের বিপক্ষে দুর্দান্ত গোল করেছিলেন আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানা। পরে সে গোলটিই হয়েছে এএফসির সপ্তাহ সেরা গোল।

২৬ হাজার ৮৮ ভোট। সংখ্যাটা যেন এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না সোহেল রানা। বিপুলসংখ্যক এই ভোটের কল্যাণেই আবাহনী লিমিটেডের এই মিডফিল্ডারের নামের সঙ্গে যোগ হয়েছে এশিয়ার সেরা গোলের মালিক।

২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি কাপে এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভের বিপক্ষে আবাহনীর ৪-৩ গোলে জয়ের ম্যাচে দুর্দান্ত একটি গোল করেছিলেন সোহেল। সে গোলটিই শেষ সপ্তাহে এশিয়ার সেরা গোলের স্বীকৃতি পেয়েছে। মাঠে দুর্দান্ত গোল করে নিজের কাজটা করেছিলেন সোহেল। ভোট যুদ্ধে বাকি কাজটা করে দিয়েছেন দেশের ফুটবল সমর্থকেরা। সমর্থকদের কাছ থেকে এএফসির অনলাইনে আবাহনী মিডফিল্ডার পেয়েছেন সর্বোচ্চ ২৬ হাজার ৮৮ ভোট।

প্রত্যেক সমর্থকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের এই মিডফিল্ডার, ‘২৬ হাজার ৮৮ জনের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। তাদের ভোটেই আমার গোলটি এশিয়ার সপ্তাহ সেরা গোল হয়েছে। তাদের জন্য আমার পক্ষে থেকে শুভ কামনা থাকল।’

এএফসি কাপের ফিরতি পর্বের ম্যাচটি বুধবার উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি খেলতে আজ রাতেই ঢাকা ছাড়ছে আবাহনী। যাওয়ার আগে প্রথম আলোর মাধ্যমে ভবিষ্যতেও সমর্থকদের পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সোহেল, ‘ঢাকার মাঠে প্রথম ম্যাচে জেতার পর দর্শকদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। সামনে ভালো-মন্দ সব সময়ে তাদের পাশে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। সমর্থকেরা পাশে থাকলে ফুটবলে ভালো সময় আসবেই।’

সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবলে সুবাতাস বইছে। সোহেলের আগে একইভাবে অনলাইন ভোটে গত জুনে আবাহনীর আরেক ফুটবলার মামুনুল ইসলামের গোল এশিয়ার সপ্তাহ সেরা গোল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে নেপালের মানাং মার্সিয়াংদির বিপক্ষে ওই গোলটি করেন মামুনুল। সোহেল রানার গোলটিও একই টুর্নামেন্টে নকআউট পর্বে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের প্রথম লেগে।

স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজের ব্যাক হিল, এরপর বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের বুলেট গতির শটে গোল করে আবাহনীকে ১-০ তে এগিয়ে নেন সোহেল। তাঁর বুলেট গতির শট এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের গোলরক্ষক বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ওই গোল আবাহনীকে দিয়েছে আত্মবিশ্বাস এবং শেষ পর্যন্ত ৭ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে দারুণ এক জয়।