পাঁড় সমর্থকের কাছেই ধরা রিয়াল?

সার্জি গার্দিওলার এ গোলটাই শেল হয়ে বিঁধেছে রিয়ালের বুকে। ছবি : টুইটার
সার্জি গার্দিওলার এ গোলটাই শেল হয়ে বিঁধেছে রিয়ালের বুকে। ছবি : টুইটার
>

গতকাল সার্জি গার্দিওলার গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে ১-১ গোলে আটকে দিয়েছে রিয়াল ভায়াদোলিদ। এই সার্জি গার্দিওলা বরাবরই রিয়ালের পাঁড় সমর্থক। এক সময় নাম লিখিয়েছিলেন বার্সেলোনার একাডেমিতেও।

'গার্দিওলা' শব্দটার প্রতি এত দিনে রিয়াল মাদ্রিদের অরুচি এসে যাওয়ার কথা। এক পেপ গার্দিওলার জন্য রিয়াল মাদ্রিদকে যে পরিমাণ ভুগতে হয়েছে, তা এখন আর নতুন করে মনে করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। সবাই জানে সেটা। গতকাল আরেক গার্দিওলার জন্য তিন পয়েন্ট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলো রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গোল করে রিয়াল মাদ্রিদকে জয়বঞ্চিত করেছেন রিয়াল ভায়াদোলিদের স্ট্রাইকার সার্জি গার্দিওলা। তিনি রিয়ালের দারুণ ভক্ত। অতি রিয়াল-প্রীতির কারণে এক সময় বিতাড়িত হয়েছিলেন বার্সেলোনার একাডেমি থেকে।

বার্সেলোনার বিখ্যাত লা মাসিয়া একাডেমিতে উঠতি অনেক খেলোয়াড়ই ফুটবলের প্রথম পাঠ নেন। মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তা, পুয়োল, ফ্যাব্রিগাস, রবার্তোদের মতো কেউ প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে মূল দল পর্যন্ত চলে আসেন, আবার মাউরো ইকার্দি, গাই আসুলিন বা ভিক্টর ভাজকেজদের মতো অনেক তারকাই মূল দলে আসার আগেই বার্সাকে বিদায় জানান, অন্য ক্লাবে প্রতিষ্ঠিত হন। সার্জি গার্দিওলা দ্বিতীয় দলের সদস্য। তবে ইকার্দি বা আসুলিনরা যেখানে বার্সার একাডেমিতে যথেষ্ট প্রতিভার স্বাক্ষর না রাখার কারণে ক্লাব ছেড়েছেন, গার্দিওলার ক্লাব ছাড়ার কারণ ঠিক সেটা ছিল না। বিচিত্র এক কারণে তাঁকে ক্লাব ছাড়া করেছিল বার্সেলোনা।

বার্সার একাডেমিতে ২০১৫ সালে ভর্তি হলেও, সার্জি আসলে ছিলেন একজন রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থক। তাতেও সমস্যা ছিল না, সমস্যাটা বাঁধে অন্য জায়গায়। বার্সার একাডেমিতে চুক্তি সই করার আট ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই ২০১৩ সালে করা তাঁর কিছু টুইট নতুন করে চোখের সামনে আসে। যেখানে দেখা যায়, বার্সেলোনাকে প্রাণভরে খিস্তি-খেউড় করছেন তিনি! ২০১৩ সালের এক এল ক্লাসিকোর আগে গার্দিওলা টুইট করেন, ‘এখন ক্লাসিকোর সময়! হালা মাদ্রিদ! হালা মাদ্রিদ!’ এর পরেই প্রকাশের অযোগ্য ভাষায় কাতালুনিয়া রাজ্যকে গালাগাল করেন তিনি। মূলত এ কারণেই আট ঘণ্টা যেতে না যেতেই গার্দিওলার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে বার্সেলোনা। যদিও পরবর্তীতে গার্দিওলা ব্যাপারটাকে কিশোর বয়সের আবেগ বলেই দাবি করেছিলেন। লাভ হয়নি তাতে। বার্সা ছাড়ার পর গ্রানাডা, গেটাফে, কর্দোবা হয়ে রিয়াল ভায়াদোলিদে নাম লিখিয়েছেন তিনি।