মাসে ১৭ লাখ চান মিসবাহ, রাজি নয় পিসিবি

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। ছবি: রয়টার্স
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। ছবি: রয়টার্স
>পাকিস্তানের হেড কোচ চূড়ান্ত করতে আজ প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সংবাদমাধ্যমের মতে, কোচ হওয়ার দৌড়ে মিসবাহ উল হক এগিয়ে থাকলেও কিছু জটিলতাও আছে। যেমন মিসবাহ যে অঙ্কের বেতন চান বোর্ড তা দিতে রাজি নয়

পাকিস্তানের নতুন হেড কোচ মিসবাহ-উল হক? প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে কদিন ধরে। হেড কোচ বাছাই হওয়ার আগেই নানা সূত্র মারফত জবাবটাও তৈরি করে দিয়েছে সংবাদমাধ্যম, মিসবাহ ছাড়া আর কে! হ্যাঁ, কোচ হওয়ার দৌড়ে মিসবাহ বাকিদের চেয়ে এগিয়ে। তবে ব্যাপারটা যত সহজ ভাবা হচ্ছে তেমন নয়। পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়কের জাতীয় দলের কোচ হওয়ার পথে বেশ কিছু বাঁধা রয়েছে। এর মধ্যে বেতন নিয়ে জটিলতা বড় একটি বাঁধা।

হেড কোচ বাছাইয়ে পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এর মধ্যে তিনজন বোর্ডের অফিশিয়াল আর বাকি দুজনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হিসেবে বাছাই করেছে পিসিবি। তাঁরা হলেন, পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও ম্যানেজার ইন্তেখাব আলম এবং সাবেক টেস্ট ব্যাটসম্যান বাজিদ খান। পাঁচ সদস্যের এ প্যানেল আজ প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে হেড কোচ ও বোলিং কোচ চূড়ান্ত করে সুপারিশপত্র পাঠাবে পিসিবি সভাপতি এহসান মানির কাছে।

হেড কোচ পদে লড়বেন চার প্রার্থী—মিসবাহ, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যান ডিন জোন্স, বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ এবং পাকিস্তানের সাবেক কোচ মহসিন খান। দেশটির সংবাদমাধ্যম এর আগে জানিয়েছিল, পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলের চোখে কোচ হওয়ার দৌড়ে মিসবাহই এগিয়ে। কিন্তু এবার পাকিস্তানেরই সংবাদমাধ্যম ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’-এর প্রতিবেদনে জানা গেল, হেড কোচ পদে মিসবাহ যে অঙ্কের বেতন চান তা দিতে অনিচ্ছুক পিসিবি। বিশ্বকাপের পর ছাঁটাই হওয়া কোচ মিকি আর্থারের সমান বেতন চেয়েছেন মিসবাহ। পাকিস্তানের কোচ পদে মাসে ২০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭ লাখ টাকা) পারিশ্রমিক পেয়েছেন আর্থার। স্থানীয় কোনো কোচকে এ অঙ্কের বেতন দিতে রাজি নয় পিসিবি।

সমস্যা আরও আছে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাকিস্তানের হেড কোচ পদে থেকেই দেশটির ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ পিএসএলে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান মিসবাহ। কিন্তু পিসিবি সভাপতি এহসান মানি এর আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় দলের দায়িত্ব পেলে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের দলের কোচ পদে থাকা যাবে না। আর পিসিবির নতুন সংবিধানেও এ সুযোগ রাখা হয়নি। এর আগে পাকিস্তান দলের কোচিং স্টাফ ও নির্বাচক কমিটিতে থাকা মিকি আর্থার, ইনজামাম উল হক ও আজহার মেহমুদ জাতীয় দলের সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের দায়িত্বও সামলেছেন।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পিসিবির সঙ্গে এসব ব্যাপারে মতের মিল না হওয়ায় হেড কোচ পদে আবেদন করতে শেষ সময় পর্যন্ত দেরি করেছেন মিসবাহ। আরও একটি জটিলতা হলো, কোচের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পিসিবি যে ধরনের যোগ্যতা চেয়েছে তা নেই মিসবাহর। অন্তত লেভেল টু পর্যায়ের কোচিং কোর্স করার সঙ্গে ‘ন্যূনতম তিন বছর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে’ অভিজাত ক্রিকেটারদের সঙ্গে—এমন কাউকে খুঁজছে পিসিবি। মিসবাহর এ পর্যায়ে তিন বছর কাজের অভিজ্ঞতা নেই। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়া সাবেক অধিনায়ক এ বছরও পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলেছেন পেশোয়ার জালমির হয়ে।