বার্সেলোনাকেই চেয়েছিলেন রয়েস

চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনাকেই চাইছিলেন রয়েস। ফাইল ছবি
চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনাকেই চাইছিলেন রয়েস। ফাইল ছবি

গতকাল চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্র অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। বরাবরের মতোই স্মৃতিতে গেঁথে যাওয়ার মতো বেশ কিছু মুহূর্ত উপহার দিয়েছে উয়েফার বর্ষসেরা পুরস্কার প্রদানের এ অনুষ্ঠান। এরিক কান্টোনার মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া বক্তৃতা, রোনালদোর মেসির সঙ্গে ডিনার করতে চাওয়ার চেয়েও মজার এক দৃশ্য দেখা গিয়েছিল কাল। ড্রতে স্লাভিয়া প্রাহার ভাগ্যে গ্রুপ ‘এফ’ জোটায় তাদের এক কর্মকর্তার অসহায় হাসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক হাস্যরসের জন্ম দিয়েছিল।

ওই কর্মকর্তার দোষ নেই। ইউরোপের বড় বড় ক্লাবের মাঝে স্লাভিয়া প্রাহার নাম শুনেছেনই-বা কজন। চেক প্রজাতন্ত্রের এই ক্লাব কোয়ালিফাইং রাউন্ড পেরিয়ে এসেছে চ্যাম্পিয়নস লিগে। এমন এক দলের জন্য গ্রুপ ‘জি’ই সবচেয়ে সুবিধাজনক হতো। জেনিত, বেনফিকা ও লিঁওর সঙ্গে লড়াই করার সাহস করাই যায়। কিন্তু গ্রুপ ‘এফ’এ আছে তিন সাবেক চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও ইন্টার মিলান। অসহায় হাসি তাই মুখে ফোটাই স্বাভাবিক।

এর উল্টো দশা ডর্টমুন্ডের। গতবার একটুর জন্য জার্মান লিগ হাতছাড়া করা দলটি উল্টো আশা করছিল বার্সেলোনার সঙ্গে খেলা পড়বে। অধিনায়ক মার্কো রয়েস জানিয়েছেন, ‘সকালের নাশতার সময় দলের কয়েকজন একত্র হয়েছিলাম। তখনই সবাই বলছিলাম, বার্সেলোনার সঙ্গে এক গ্রুপে পড়লে ভালো হবে। সত্যি তাই হওয়ায় বেশ উত্তেজিত বোধ করছি।’

শুধু বার্সা নয়, গ্রুপে ইন্টার মিলান আছে। গত কয়েক মৌসুমে ধীরে ধীরে নিজেদের ফিরে পেয়েছে দলটি। এ মৌসুমে দলের দায়িত্ব নিয়েছেন আন্তোনিও কন্তে। এসেই দলের আক্রমণভাগে নতুন দুই অস্ত্র এনেছেন। রয়েস তাই স্বীকার করছেন এই গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে ওঠা চ্যালেঞ্জিং হবে। তবু বার্সেলোনার সঙ্গে খেলার অপেক্ষায় জার্মান ফরোয়ার্ড, ‘অবশ্যই গ্রুপটা অনেক কঠিন। এমন কিছু দলের সঙ্গে খেলা যাদের সঙ্গে অনেক দিন শক্তি পরীক্ষা করা হয় না। বার্সেলোনার সঙ্গে ম্যাচটা আমাদের ও সমর্থকদের জন্য উৎসব হয়ে আসবে। আমরা নিজেদের দক্ষতায় বিশ্বাসী এবং আমাদের লক্ষ্য পরের রাউন্ডে যাওয়া।’

ডর্টমুন্ড অবশ্য কালই জানিয়ে দিয়েছে তারা বার্সেলোনার সঙ্গে খেলার অপেক্ষায় আছে। কাল ড্র শেষ হওয়ার আগেই ডর্টমুন্ডের অফিশিয়াল পেজ থেকে টুইট করা হলো, ‘কর্নারের অনুশীলন শুরু করতে হবে!’ অ্যানফিল্ডে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের অপ্রস্তুত অবস্থায় রেখে দ্রুত কর্নার নিয়েছিলেন ম্যাক্স আরনল্ড। সেখান থেকে দলের চতুর্থ গোল করেছিলেন অরিগি। এ নিয়ে হাসি ঠাট্টা চলছে এখনো। এবার গ্রুপে বার্সেলোনাকে পেয়েই খোঁচা দিয়েছে ডর্টমুন্ড।