ছেলের ডেঙ্গু, দলে ফেরা হলো না ইমরুলের
>
ইমরুলের এবারও ফেরা হলো না। ফেরার সুযোগটা ধরা দিতে দিতেও দিল না।
দুই নির্বাচকই ফোন দিয়েছিলেন ইমরুল কায়েসকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে সাদমান ইসলামের সঙ্গে একজন অভিজ্ঞ ওপেনার রাখার ভাবনা ছিল নির্বাচকদের। কিন্তু যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, খেলায় মনোযোগ দেওয়ার অবস্থায় নেই ইমরুলের।
চার দিন হলো ইমরুলের ১১ মাসের শিশুপুত্র ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত, তাকে ভর্তি করা হয়েছে স্কয়ার হাসপাতালে। বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি ওপেনারকে দিন-রাত সেখানেই থাকতে হচ্ছে। গত নিউজিল্যান্ড সফরের দলে ছিলেন না। সুযোগ মেলেনি পরের সফরগুলোতেও। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে যাও-বা সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল, ভাগ্যের কাছে আবারও হেরে গেলেন বাঁহাতি ওপেনার।
দল ঘোষণার পর প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বলছিলেন, ‘ইমরুল কায়েসকে নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করেছিলাম। যেহেতু তামিম নেই, আমাদের বিকল্প খেলোয়াড় লিটন, সৌম্য আছে। ইমরুলকে নিয়ে আমরা চিন্তা করেছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওর ছেলে অসুস্থ। সে হাসপাতালে আছে। এ কারণে সে এখন ক্যাম্পে নেই, অনুশীলনেও নেই। আমরা আশা করছি দ্রুতই সে খেলায় ফিরে আসবে।’
ছেলেটা ভীষণ অসুস্থ, দলে ফেরার সুযোগটা ধরাও দিয়ে দিল না—এখন ইমরুলের দুঃখ দুদিকেই। সন্ধ্যায় হতাশ কণ্ঠে বললেন, ‘কী আর করা! জীবন তো আগে। দোয়া করবেন আমার ছেলেটা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। হ্যাঁ, নির্বাচকেরা আমাকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু আমার পরিস্থিতি যে এখন ভিন্ন।’ ইমরুলের স্বস্তি এতটুকু, প্রথমে কমে যাওয়া প্লাটিলেট কিছুটা বেড়েছে। তবে দুশ্চিন্তা এতটুকু কমেনি।
ইমরুল না ফিরতে পারলেও ফিরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। দেড় বছর আগে সবশেষ টেস্ট খেলা মোসাদ্দেকের ফেরা নিয়ে মিনহাজুল বললেন, ‘আমরা অতিরিক্ত একজন ব্যাটসম্যান অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভেবেছি বলে ওকে রেখেছি (মোসাদ্দেক)। আর দেশে খেললে সব সময় ১৪ জন রাখি। এখন ঘরোয়া ক্রিকেটে যেহেতু খুব বেশি খেলা নেই তাই একজন অতিরিক্ত খেলোয়াড় নিয়ে যাচ্ছি। যাকে দরকার হবে, যেহেতু আবহাওয়া এবং কন্ডিশন কঠিন, যেকোনো খেলোয়াড় চোটে পড়তে পারে। দলের সঙ্গে ও সিস্টেমের মধ্যে থাকলে যেকোনো সময় দলে নেওয়া যায়।’
কদিন আগে আঙুলে চোট পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে সংশয় থাকলেও প্রধান নির্বাচক আশাবাদী পরশু থেকেই নেটে পাওয়া যাবে তরুণ অলরাউন্ডারকে।