মাঠে ফিরেছেন স্টিভ স্মিথ

চোট কাটিয়ে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন স্মিথ। ছবি : ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
চোট কাটিয়ে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন স্মিথ। ছবি : ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
>জফরা আর্চারের বাউন্সারটা মনে করিয়ে দিয়েছিল অনেক দুঃসহ স্মৃতি। তার জের ধরে যখন হেডিংলি টেস্টটা খেলতে পারলেন না স্টিভেন স্মিথ, নেতিবাচক চিন্তাটা বেড়েছে বই কমেনি। গতকাল ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলতে নেমে আপাতত সকল নেতিবাচক চিন্তাকে মাটিচাপা দিয়েছেন এই অস্ট্রেলীয় তারকা। জানিয়ে দিয়েছেন, অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টটা খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত

হেডিংলি টেস্টের আগেই অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার জানিয়ে দিয়েছেন, খেলছেন না দলের সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ। জফরা আর্চারের মারাত্মক এক বাউন্সারে মাথায় আঘাত পাওয়া স্মিথ হেডিংলি টেস্টের পাঁচ দিন কাটিয়েছেন নিজের শুশ্রূষায়।

স্মিথকে নিয়ে শঙ্কার পাল্লা তাতে ভারী হয়েছে। তবে সবাইকে আশ্বস্ত করে ল্যাঙ্গার আগেই জানিয়েছিলেন, হেডিংলি টেস্টের পরে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচেই দেখা যেতে পারে স্মিথকে। সেটাই হয়েছে, সুস্থ হয়ে আবারও ব্যাট-প্যাড পরে মাঠে নেমে গিয়েছেন স্টিভেন স্মিথ। ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া একাদশের প্রথম ইনিংসে ২৩ রান করেছেন এই তারকা ব্যাটসম্যান।

লর্ডস টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসের ৭৭তম ওভারে আর্চারের এক বাউন্সার খেলতে গিয়ে একটু গড়বড় করে ফেলেন স্মিথ। বল গিয়ে আঘাত করে বাঁ কানের নিচে। সরাসরি উন্মুক্ত স্থানে ওভাবে বল আঘাত হানায় উইকেটের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়েন। দলের ডাক্তার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে পরীক্ষা করে দেখেন স্মিথকে। একটু পরে দাঁড়িয়ে উঠে আবার খেলার ইচ্ছে জানিয়েছিলেন স্মিথ। কিন্তু অত বড় ঝুঁকি নেননি ডাক্তার রিচার্ড শ। মাঠ ছেড়ে চলে আসতে হয় সিরিজের সবচেয়ে সফল অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানকে।

লর্ডস আর হেডিংলি টেস্টের মধ্যে ব্যবধান ছিল মাত্র তিন দিনের। এই তিন দিনে তাড়াহুড়ো করে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত স্মিথকে মাঠে নামিয়ে দিতে চায়নি অস্ট্রেলিয়া। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর স্টিভ স্মিথের মাথা ঝিমঝিম করছিল, যন্ত্রণা করছিল বেশ। কনকাশনের লক্ষণ স্পষ্ট ছিল। এই অবস্থায় যেকোনো খেলোয়াড়কেই বিশ্রামে রাখতে হয়। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দল সেটিই করেছিল। ফলে মাঠে থেকে হেডিংলি টেস্ট পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিতে হয়নি স্মিথকে। ওদিকে স্মিথ মাঠে না নামার ফলে চোটের ভয়াবহতা নিয়ে চাপা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল ক্রিকেট মহলে। না চাইতেও মনে পড়ে যাচ্ছিল ক্রিকেট মাঠে চোট পাওয়ার দুঃসহ ঘটনাগুলো। ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে স্মিথ মাঠে নামার ফলে সব গুঞ্জন থেমে গেল।

ব্যাট হাতে ২৩ রান স্মিথের ক্রিকেট-ব্যাকরণ ও সামর্থ্য অনুযায়ী অবশ্যই প্রত্যাশিত কোনো স্কোর নয়। কিন্তু স্মিথ কত রান করতে পারছেন, সেটা এই প্রস্তুতি ম্যাচে মুখ্য ছিল না যে! স্মিথ মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাই অস্ট্রেলিয়ার ভক্ত-সমর্থকেরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ম্যানচেস্টারে শুরু হতে যাওয়া অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার মূল একাদশে থাকবেন তিনি।