মুশফিকদের বল করে হাত পাকাচ্ছেন নাঈম

নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছেন নাঈম। ছবি: প্রথম আলো
নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছেন নাঈম। ছবি: প্রথম আলো
>মুশফিকুর রহিম কিংবা সাকিব আল হাসানদের বিপক্ষে নেটে বোলিং করে ক্ষুরধার হয়ে উঠছেন তরুণ অফ স্পিনার নাঈম হাসান। বিষয়টা তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। তবে অতি আত্মবিশ্বাসকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন না তিনি

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের দুই নম্বর নেটে ব্যাটিং করছিলেন মুশফিকুর রহিম। কে যেন দূর থেকে ডাক দিয়ে বলল, ‘মুশফিক ভাই, আপনার আর ৫ মিনিট।’ মুশফিকের জবাব, ‘নাঈম মাত্রই বল নিল, আরও কিছুক্ষণ খেলি।’ এর পরপরই অফ স্পিনার নাঈম হাসানের সঙ্গে কাল্পনিক ফিল্ডিং সাজিয়ে অনুশীলন শুরু মুশফিকের। প্রায় ৩০ মিনিটের নেট সেশন মুশফিকের। সঙ্গে বাকি স্পিনাররাও ছিলেন। স্পিন কীভাবে খেলতে হয়, ৩০ মিনিটের ‘মাস্টারক্লাস’ করে দেখালেন মুশফিক।

টেস্ট ম্যাচের প্রস্তুতিটাও ভালোই বোলারদের। মুশফিক-সাকিবদের মতো বিশ্বমানের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিং করে হাত পাকাতে পারছেন স্পিনাররা।। অনুশীলন শেষে নাঈম বলছিলেন, ‘মুশফিক ভাই, সাকিব ভাইদের বিপক্ষে নেটে বোলিং করলে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। কারণ ওনারা অনেক ভালো স্পিন খেলেন। বিশ্বমানের ক্রিকেটার। ওনাদের বিপক্ষে বোলিং ভালো অনুশীলনে সাহায্য করে।’

ব্যাটে ও বলে দারুণ ফর্মে আছেন নাঈম। বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে চার দিনের ম্যাচে খেলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। লোয়ার অর্ডারে নেমে রান করেছেন। আজ জাতীয় দলের নেটেও তাঁর ব্যাটিং পেয়েছে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের বাহবা। সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশে জায়গা রাখার জোর দাবি রাখলেন এই তরুণ স্পিনার।

নাঈম বলছিলেন, ‘যখন উইকেট পাই, রান করি তখন অবশ্যই আত্মবিশ্বাসটা বেশি থাকে। প্রতিদিনই নতুন করে শুরু করতে হয়, আগের দিনের আত্মবিশ্বাসটা থাকে তবে ওভার কনফিডেন্স নই। আর আমি যে জায়গায় নামি, কিংবা যখনই ব্যাট নিয়ে মাঠে নামি নিজেকে মনে করি আমি একজন ব্যাটসম্যান। ওটা চিন্তা করে আমি ব্যাটিং করি।’

এই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই গত ডিসেম্বরে অভিষেক হয় চট্টগ্রামের ছেলে নাঈম হাসানের। অভিষেকেই সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৫ উইকেট পাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। নাঈম অবশ্য এসবের ধার ধারি না। নিজের প্রক্রিয়াটা ঠিকঠাক রাখাই তাঁর মূল লক্ষ্য, ‘আমি যে প্রসেসে খেলি সেটা মেনটেইন করার চেষ্টা করি এবং নিজে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি।’