আফগান স্পিনারদের হুমকি মানছে বাংলাদেশ

রশিদ খানকে নিয়ে বাড়তি পরিকল্পনা থাকবেই চট্টগ্রামে। ছবি: শামসুল হক
রশিদ খানকে নিয়ে বাড়তি পরিকল্পনা থাকবেই চট্টগ্রামে। ছবি: শামসুল হক
>চট্টগ্রাম টেস্টে আফগান স্পিনারদের নিয়ে বাড়তি ভাবনাই ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

অনুশীলনের আগে একবার কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে নিয়ে উইকেট দেখে গেলেন সাকিব আল হাসান। অনুশীলন শেষে আরেকবার। পড়ন্ত বিকেলে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই কিউরেটরকে নিয়ে সাকিব-ডমিঙ্গো এমনভাবে উইকেট দেখতে থাকলেন, মনে হলো—রান্না প্রায় শেষ, একটু চেখে দেখা যাক!

চাহিদা অনুযায়ী জহুর আহমেদের কিউরেটাররা উইকেট তৈরি করতে পেরেছেন কি না, সেটি পরশু থেকেই বোঝা যাবে। তবে এই মাঠের কিউরেটররা সাধারণত হতাশ করেন না সাকিবদের। চাহিদা অনুযায়ী উইকেটই পেয়ে থাকেন তাঁরা। কিন্তু এবারও যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে যে পুরোনো সূত্র ধরে এগোতে চাইছে বাংলাদেশ সেটি হিতে-বিপরীত হবে না তো?

বাংলাদেশ যদি স্পিন দিয়ে আফগান ব্যাটসম্যানদের গুঁড়িয়ে দিতে চান, রশিদ-কায়েস-জহিরও নিশ্চয়ই বসে থাকবেন না। আফগান স্পিনারদের তূণেও কম অস্ত্র নেই! বিসিবি একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেই কঠিন বার্তা তাঁরা দিয়ে রেখেছেন। বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো মানেন, রশিদরা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে তাঁদের বিপক্ষে, ‘তারা আমাদের জন্য হুমকি হবে। জানি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাদের বোলিং আক্রমণ কতটা ভয়ংকর। তবে এটা কিন্তু ভিন্ন সংস্করণ। তবে আগামী কদিন তারা অবশ্যই হুমকির কারণ হবে।’

রশিদ খান বড় তারকা বলে তাঁকে না হয় আগ থেকেই চেনা আছে। কিন্তু জহির খানের মতো তরুণ ‘চায়নাম্যান’ যে হুমকি হবেন, সেটি তো প্রস্তুতি ম্যাচে দেখাই গেল। ২৪ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন এই চায়নাম্যান। তুলনামূলক কম চেনা এই বোলারকে বাংলাদেশ কীভাবে সামলাবে? বাংলাদেশ কোচ বলছেন, বিপিএল-অভিজ্ঞতা কাজে দেবে তাঁদের, ‘ওদের কিছু ফুটেজ দেখেছি। আমাদের ছেলেরা ওদের সঙ্গে খেলেছে। দিন শেষে প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে আপনি খুব বেশি বুঝতে পারবেন না। এটা একেবারে ভিন্ন সংস্করণের ম্যাচ। ওর জন্য শুভ কামনা। আমরা ভালোভাবে তৈরি হয়েছি। ওর বিপক্ষে যারা আমাদের খেলেছে, তারা অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। তাকে সামলানোর সামর্থ্য আমাদের আছে।’

শুধু রশিদ-জহির নয়, চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে হলে বাংলাদেশকে খুব ভালোভাবে সামলাতে হবে আফগানিস্তানের পুরো বোলিং আক্রমণকেই। রাসেল ডমিঙ্গোর আত্মবিশ্বাসী, সেটা তাঁরা পারবেন।