কান্নাকাটি থামাও, গিলক্রিস্টকে হরভজন

সেই টুইট। ছবি : টুইটার
সেই টুইট। ছবি : টুইটার
>যদি সে সময়ে রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) থাকত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই মহাকাব্যিক কলকাতা টেস্টে হরভজন সিং কি হ্যাটট্রিক করতে পারতেন? অন্তত অ্যাডাম গিলক্রিস্ট সেটা মনে করেন না। আর গিলক্রিস্টের এই মতামত হরভজন ভালো ভাবে নেননি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন জসপ্রীত বুমরা। হরভজন সিং আর ইরফান পাঠানের পর তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বুমরার হ্যাটট্রিকের পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে স্মৃতিচারণে মেতেছে ভারতীয়রা। ইরফান আর হরভজনের হ্যাটট্রিক নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে একজন এই আলোচনাকে ভালোভাবে নিতে পারছেন না। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। নিতে পারবেনই বা কি করে! হরভজনের হ্যাটট্রিকের সঙ্গে যে জুড়ে আছে তাঁর নামও!

২০০১ সালে ভিভিএস লক্ষ্মণ-রাহুল দ্রাবিড়ের জন্য বিখ্যাত সেই কলকাতা টেস্টের নায়ক ছিলেন হরভজনও। চতুর্থ ইনিংসে হরভজন সিংয়ের সেই দুর্দান্ত স্পেলটা না হলে হয়তো সে টেস্টে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হতো ভারতীয়দের। তবে চতুর্থ ইনিংস না, হরভজনের হ্যাটট্রিক-কীর্তিটা হয়েছিল দ্বিতীয় ইনিংসে। হ্যাটট্রিক করার পথে হরভজন আউট করেছিলেন রিকি পন্টিং, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও শেন ওয়ার্নকে। হরভজনের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে নিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই আউট হয়েছিলেন গিলক্রিস্ট। কিন্তু সেটা কি আসলেই ‘আউট’ ছিল? অন্তত গিলক্রিস্ট সেটা মনে করেন না।

টুইটারে গিলক্রিস্টকে একহাত নিয়েছেন হরভজন। ছবি : টুইটার
টুইটারে গিলক্রিস্টকে একহাত নিয়েছেন হরভজন। ছবি : টুইটার

গিলক্রিস্টের সেই আউট হওয়ার একটা ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেছিলেন এক ভারতীয় দর্শক। সেটা রি-টুইট করে গিলক্রিস্ট ক্যাপশানে লিখেছেন, ‘নো ডিআরএস!’ ইঙ্গিতটা স্পষ্ট, গিলক্রিস্ট মনে করেন, এখনকার মতো তখন ডিআরএসের ব্যবস্থা থাকলে তিনি সে যাত্রায় বেঁচে যেতেন, হরভজনেরও আর হ্যাটট্রিক করা হত না। যে হ্যাটট্রিকটা করে প্রথম ভারতীয় হিসেবে টেস্টে হ্যাটট্রিক করার কীর্তি গড়েছিলেন ‘ভাজ্জি’।

গিলক্রিস্টের এই প্রতিক্রিয়া ভালোভাবে নেননি সাবেক এই অফ স্পিনার। সাবেক অস্ট্রেলীয় তারকার উক্তিটা রি-টুইট করে হরভজন বলেছেন, ‘তোমার ধারণা ওই বলে বেঁচে গেলে তুমি বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারতে? এসব নিয়ে কান্নাকাটি করা থামাও বন্ধু। ভেবেছিলাম ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর হয়তো ঠিকঠাক কথা বলবে। কিন্তু না, তুমিও প্রমাণ করে দিলে কিছু জিনিসের কখনই পরিবর্তন হয় না। সারা জীবন কান্নাকাটি করেই কাটিয়ে দিলে।'

কিছুক্ষণ পরে যদিও সে টুইটটা মুছে দেন হরভজন। কিন্তু তাতে কি আর হয়? ততক্ষণে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ক্রিকেট ভক্তের কাছে পৌঁছে গেছে হরভজনের টুইট। সে টুইটের স্ক্রিনশটও নেওয়া হয়েছে অনেকের!