৩৩ ধাপ এগিয়ে থাকা আফগানদের হারাতে পারবে বাংলাদেশ

তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে ফুরফুরে মেজাজে জামাল ভূঁইয়ারা।  ছবি: বাফুফে
তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে ফুরফুরে মেজাজে জামাল ভূঁইয়ারা। ছবি: বাফুফে
৫ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে এশিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। বাংলাদেশের পরীক্ষা একটু পরেই শুরু হচ্ছে। ১০ সেপ্টেম্বরের সে ম্যাচের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩৩ ধাপ এগিয়ে আছে বাংলাদেশের চেয়ে


আর মাত্র ৩ দিন। ১০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই শুরু করবে বাংলাদেশ। র‍্যাঙ্কিং বিচার করলে আফগানিস্তানই ফেবারিট এ ম্যাচে। ফিফার সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী আফগানিস্তান আছে ১৪৯তম স্থানে আর বাংলাদেশ আছে ১৮২তে। ৩৩ ধাপ এগিয়ে থাকা আফগানদের সঙ্গে পারবে তো বাংলাদেশ?

র‍্যাঙ্কিংকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে আয়না বলেই ভাবা হয়। এখানেই একটি দলের শক্তি ও সামর্থ্য ফুটে ওঠে। কিন্তু র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থেকে মাঠে নামা মানেই জয় নিশ্চিত নয়। ৫ সেপ্টেম্বর কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম দিনের দিকে তাকালে অনুপ্রেরণা নেওয়ার মতো অনেক উপলক্ষ পেতে পারে জামাল ভূঁইয়ারা। কারণ র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পাঁচটি দল।

৫ সেপ্টেম্বর এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৬টি ম্যাচ। এর মধ্যে ৪টি ম্যাচ ড্র হয়েছে, ৫টি ম্যাচে জয় পেয়েছে র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা দল। অর্থাৎ ৯টি দল র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থেকেও অন্তত ১ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করেছে। এশিয়ান ফুটবলকে সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে মঙ্গোলিয়া। ৫২ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে তারা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এটি তাদের প্রথম জয়। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে তাদের অবস্থান ১৮৭। আর মিয়ানমারের ১৩৫। এর আগে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মঙ্গোলিয়া প্রথম ড্র করেছিল বাংলাদেশের সঙ্গে ২০০১ সালে।

উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকেও শিক্ষা নিতে পারে বাংলাদেশ। ৩১ ধাপ এগিয়ে থাকা লেবাননকে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে হারিয়েছে কিম জংয়ের দেশ। আরও দুই চমকের নাম ফিলিস্তিন ও তাজিকিস্তান। ১৮ ধাপ এগিয়ে থাকা উজবেকিস্তানকে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে হারিয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন। আর ২৫ ধাপ পিছিয়ে থাকা কিরগিজস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হার এড়াতে পারেনি তাজিকিস্তান। প্রতিবেশী দেশটির কাছে ১-০ গোলে হেরেছে তারা। অত দূরে নজর না দিলেও চলবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপের দিকেই তাকানো যাক। ৮ ধাপ এগিয়ে থাকা গুয়ামকে তাদের মাঠেই ১-০ গোলে হারিয়ে দেশে ফিরেছে দ্বীপ রাষ্ট্রটি।

ড্রয়ের ফলগুলোও বেশ চমক জাগানিয়া। র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী কম্বোডিয়া ও হংকংয়ের শক্তির পার্থক্য ৩১ ধাপ। অথচ নিজেদের মাঠে হংকংকে ১-১ গোলে আটকে দিয়েছে কম্বোডিয়া। ২০০৭ এশিয়া কাপ জয়ী ইরাকের সঙ্গে নিজেদের মাঠে ড্র করেছে বাহরাইন। অথচ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাহরাইনের (১০৯) চেয়ে ৩২ ধাপ এগিয়ে ইরাক। এটাও যদি অনুপ্রেরণা নেওয়ার মতো যথেষ্ট মনে না হয়, তাহলে অন্য মহাদেশগুলোয় নজর বোলানো যাক। র‍্যাঙ্কিংয়ে ২০২-এ অবস্থান করা সোমালিয়া ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ৯০ ধাপ ওপরের জিম্বাবুয়েকে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সোমালিয়ারও এটি প্রথম জয়।

র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থেকেও জয় ও ড্রয়ের ফলাফলগুলো দেওয়া হলো

দেশের নাম ও র‍্যাঙ্কিং

            ফলাফল

দেশের নাম র‍্যাঙ্কিং

গুয়াম ( ১৪৪)

               ০–১

মালদ্বীপ ( ১৫২)

উত্তর কোরিয়া ( ১১৮)

               ২–০

লেবানন ( ৮৭)

মঙ্গোলিয়া ( ১৮৭)

               ১–০

মিয়ানমার ( ১৩৫)

ফিলিস্তিন ( ১০২)

               ২–০

উজবেকিস্তান ( ৮৪)

তাজিকিস্তান ( ১১৯)

               ০–১

কিরগিজস্তান (৯৫)

সোমালিয়া ( ২০২)

               ১–০

জিম্বাবুয়ে ( ১১২)