যাঁরা ভালো খেলেন তাঁদের বেশি বেতন দেওয়া হোক

দলে নিয়মিত পারফরমারের অভাব দেখছেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো
দলে নিয়মিত পারফরমারের অভাব দেখছেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ ম্যাচ হারলে একটি কথা বেশ জোরেশোরে উচ্চারিত হয়, খেলোয়াড়দের বেতন কেটে নেওয়া হোক। আরেকটু শাণিত ভাষায় যাঁরা বলতে পারেন, তাঁদের দাবিটা হয় আরেকটু মোলায়েম, যদি ম্যাচ জিতলেই বোনাস দেওয়া যায়, তবে ম্যাচ হারলে ম্যাচ ফিও কেটে নেওয়া উচিত। আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট হেরে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কি তেমন কিছুরই ইঙ্গিত দিলেন?

টেস্ট ম্যাচের একটি সুবিধা আছে। অধিকাংশ ম্যাচেই বেশ আগেভাগেই ফলাফল আন্দাজ করে নেওয়া যায়। বাংলাদেশ যে ক্রিকেটের কুলীন পরিবারের নব্য সদস্যের কাছে হারতে যাচ্ছে, সেটাও তাই তৃতীয় দিনের মাঝপথেই টের পাওয়া গেছে। বৃষ্টির সুবাদে পঞ্চম দিনের শেষ ঘণ্টায় গড়ালেও এ ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স কতটা বাজে ছিল, এ নিয়ে কারও মনে কোনো সন্দেহ নেই। এই বাজে পারফরম্যান্সের তালিকায় সাকিবও আছেন। দুই ইনিংসেই সাকিবের আউট দৃষ্টিকটু ছিল।

বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাকিবের কাছে দলের চাওয়া অনেক বেশি ছিল। আজ শেষ দিনে তো আরও বেশি। আজকের পারফরম্যান্সে তাঁর ঘাটতি ছিল, সেটা সাকিব মেনে নিয়েছেন। কিন্তু এতেই তাঁর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কিছু আছে বলে মনে করেন না সাকিব, ‘বিষয়টা এমন না যে বিশ্বকাপে ভালো খেলার পর আমি মনে করেছি আকাশে ছিলাম। আবার এই ম্যাচ খারাপ খেলার পর মনে করেছি যে আমি মাটির তলে চলে গেছি, তাও না। আমি যেখানে ছিলাম সেখানেই আছি। এখন এটা কে কীভাবে নেবে বা কে কীভাবে চিন্তা করবে, এটা তাদের ব্যাপার।’

সাকিব বরং দলের কয়েকজন তারকার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রায় প্রতি ম্যাচেই পরিচিত এই তারকাকুলের কয়েকজনকেই পারফর্ম করতে দেখা যায়। তাঁরা ভালো করলে দল জেতে, না হলেই ডোবে। দলে সবার ভালো খেলা নিশ্চিত করার প্রয়োজনেই হোক কিংবা সিনিয়রদের গুরুত্ব বোঝাতেই বেশ কৌতূহলোদ্দীপক এক কথাই শোনালেন সাকিব, ‘আমি সব সময় বলেছি চেষ্টা থাকে কীভাবে ভালো করতে পারি। সব সময় অবদান রাখতে পারব না, এটি খুবই স্বাভাবিক। একটা ম্যাচ খারাপ যেতেই পারে। আর যদি তেমনই হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে যে ম্যাচ ফি আমাদেরই বেশি দেওয়া উচিত। কারণ যদি সব সময় কিছু খেলোয়াড়ই খেলবে, তাহলে ওদের ম্যাচ ফি বেশি হওয়া উচিত। অন্তত আমার তা–ই মনে হয়।’