ভারতকে দাঁড়াতে দেয়নি যুবারা

বাংলাদেশের যুবাদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি ভারতের ব্যাটসম্যানেরা। ছবি: এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল টুইটার পেজ
বাংলাদেশের যুবাদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি ভারতের ব্যাটসম্যানেরা। ছবি: এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল টুইটার পেজ
>

কলম্বোয় অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে মাত্র ১০৬ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যুবাদের এশিয়া কাপে এবারই প্রথম ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ

সেমিফাইনালে খেলা দেখতে না পাওয়ার খেদ ছিল দুই দলের সমর্থকদেরই। বৃষ্টি দুটি সেমিফাইনাল ভাসিয়ে দেওয়ায় টুর্নামেন্টের নিয়মানুযায়ী গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ ও ভারত। কলম্বোয় আজ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের কাঙ্ক্ষিত এ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে দুই প্রতিবেশী। তাতে ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই বাংলাদেশের সমর্থকদের মনের খেদ ভালোই মিটে যাওয়ার কথা। কারণ, আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতের যুবারা যে কোনোমতে ১০০ পার করেছে!

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে এবারই প্রথম ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশের যুবারা। প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে পাওয়ায় খেলোয়াড়েরা যেন একটু বেশিই চনমনে ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ভালোই লড়াই চলে জাতীয় দলের। যুবারাই–বা পিছিয়ে থাকবে কেন! দুর্দান্ত বোলিংয়ের প্রদর্শনী দেখিয়ে ভারতকে মাত্র ১০৬ রানেই অলআউট করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। পুরো ৫০ ওভার খেলা দূরঅস্ত, মাত্র ৩২.৪ ওভার খেলতে পেরেছে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক ধ্রুব জুরেল। কিন্তু নিজেদের ইনিংসে কখনোই থিতু হতে পারেনি ভারতের ব্যাটসম্যানেরা। ওপেনার অর্জুন আজাদকে তৃতীয় ওভারে তুলে নিয়ে পতনের শুরুটা করেছিলেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এরপর ১০ রান তোলার আগেই আরও ৩ উইকেট হারায় ভারতের যুবারা। টপ অর্ডারে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে খুব দ্রুতই হারিয়ে ভারত সেই যে খেই হারাল, এরপর আর পথে ফিরতে পারেনি। ভারতীয় যুবাদের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তিলক ভার্মাকে তুলে নেন আরেক পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

অধিনায়ক জুরেল ও শাশ্বত রাওয়াত মিলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন। তাঁদের ৪৫ রানের জুটি অবশ্য ভারতীয় সমর্থকদের আক্ষেপই বাড়াবে। কারণ, ১৫তম ওভারে রাওয়াতকে (১৯) স্পিনার শামীম হোসেন তুলে নেওয়ার পর আবারও মড়ক লাগে ভারতের ইনিংসে। ৪ উইকেটে ৫৩ থেকে ৯ রান তুলতেই নেই আরও ৩ উইকেট! ২১তম ওভারের মধ্যে ৭ উইকেটে ৬২ রানের ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ইনিংস। ৩৩ রান করা জুরেলকে ২১তম ওভারে তুলে নেন স্পিনার শামীম।

আটে নামা করণ লাল শেষ দিকে এক প্রান্ত আগলে রেখে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সে জন্য অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানদের সাহায্য তো লাগবে! শেষ উইকেটজুটি ছাড়া সেটুকু তিনি পাননি। আকাশ সিংকে নিয়ে শেষ উইকেটে ২২ রানের জুটিতে দলীয় সংগ্রহকে এক শর ওপাশে নিয়ে যান করণ। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করে আউট হন করণ।

দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি চোখধাঁধানো ফিল্ডিংও করেছে যুবারা। বিশেষ করে ভারতের অধিনায়ক জুরেলের যে ক্যাচটি মৃত্যুঞ্জয় নিয়েছেন, তা বাংলাদেশের ক্রিকেটমোদীদের অনেক দিন চোখে লেগে থাকার কথা। জুরেলের সপাটে ড্রাইভ শর্ট কভার অঞ্চলে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তালুবন্দী করেন মৃত্যুঞ্জয়। বল হাতেও ৩ উইকেট নেন তিনি। স্পিনার শামীমও নিয়েছেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট শাহীন আলম ও তানজীমের।