ফিফটির খরা কাটালেন মাহমুদউল্লাহ

অবশেষে ব্যাটে রান মাহমুদউল্লাহর। ছবি: শামসুল হক
অবশেষে ব্যাটে রান মাহমুদউল্লাহর। ছবি: শামসুল হক
>লম্বা বিরতি শেষে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে আবারও ফিফটি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে ৪৪ করার পর আজ জহুর আহমেদে ৬২।

বেশ কিছু দিন ধরেই নীরব মাহমুদউল্লাহর ব্যাট। বিশ্বকাপটা খুব ভালো যায়নি। ভুলে যাওয়ার মতো ছিল গত জুলাইয়ের শ্রীলঙ্কা সফরেও। একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে। মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আজ তিনি ফিরলেন। নীরবতা ভেঙে দারুণ সরব আজ তাঁর ব্যাট। আজ ২৪ ম্যাচ পর টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এ যেন রীতিমতো খরা কাটানো!

মাহমুদউল্লাহ ‌‘চুপচাপ’ থাকা মানে মিডল অর্ডারের ফাটলটা আরও বড় হওয়া। সেই ফাটল খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষ বোলাররা দ্রুত ধসিয়ে দিতে পারেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং অর্ডার। আর মাহমুদউল্লাহর ভালো খেলার অর্থই ইনিংসের মাঝে কিংবা শেষ দিকের ওভার খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে বড় স্কোর পাওয়ার নিশ্চয়তা। যেটি আজ জহুর আহেমেদ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পেয়েছে বাংলাদেশ।

৬৫ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে আজ বড় স্কোর এনে দিয়েছে মাহমুদউল্লাহর ৬২ রানের ইনিংসটা। চতুর্থ উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তাঁর ৫৫ বলে ৭৮ রানের জুটিটাই বাংলাদেশ ইনিংসের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিক। ক্লিন হিটে মাহমুদউল্লাহকে কেন সেরা বলা হয় আজ আবার সেটি বুঝিয়েছেন। এক চারের বিপরীতে মেরেছেন পাঁচ ছক্কা। তিনটি ছক্কাই অনসাইডে। বাকি দুটি লংঅফের ওপর দিয়ে। বেশির ভাগ ছক্কাই এসেছে টাইমিং আর পেশির জোরের দারুণ সমন্বয়ে।

মিরপুরে আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩৯ বলে ৪৪ করে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে তাঁর ১১২.৮২ স্ট্রাইকরেট যে ম্যাচ জেতানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না, সেটি নিশ্চয়ই বুঝেছেন। বুঝেছেন বলেই আজ স্ট্রাইকরেট হলো বেশ আকর্ষণীয়—১৫১.২১। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি, ২৪ ম্যাচ পর ফিফটি—সেটির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, মাহমুদউল্লাহ রানে ফিরেছেন। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে অন্যতম ভরসা যেভাবে টানা রানখরায় ভুগছিলেন, তাঁর একাদশে জায়গা নিয়েই উঠে গিয়েছিল প্রশ্ন।

সেই প্রশ্নটার উত্তর জহুর আহমেদে আপাতত দিয়েছেন। শুধু আজকের সন্ধ্যায় নয়, মাহমুদউল্লাহকে ছন্দটা ধরে রাখতে হবে সিরিজের শেষ পর্যন্ত। মাহমুদউল্লাহর মতো সিনিয়র-অভিজ্ঞ খেলোয়াড় টানা ঘুমিয়ে থাকলে দলটার অবস্থা কী হয়, সে তো দেখাই গেছে গত কদিনে।