গোল করেই দুয়োধ্বনির জবাব নেইমারের

সেই নেইমারেই পার পিএসজি। ছবি : এএফপি
সেই নেইমারেই পার পিএসজি। ছবি : এএফপি
>আবারও পিএসজিকে শেষ মুহূর্তের গোলে বাঁচিয়েছেন নেইমার। আর সেই গোলে লিওঁকে ১-০ গোলে হারিয়েছে প্যারিসের জায়ান্টরা।

নেইমার খুব ভালো করেই জানেন, দলবদলের সময়ে বার্সায় যাওয়ার জন্য যেভাবে পাগল হয়ে গিয়েছিলেন, এর পর পিএসজির সমর্থকেরা তাঁকে কখনই ভালোভাবে সমাদর করবে না। চুপচাপ নিজের পারফরম্যান্স দিয়েই সমর্থকদের মন জয় করতে হবে। আর সে লক্ষ্যে বেশ ভালোভাবেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ব্রাজিলীয় তারকা। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও শেষ মুহূর্তের গোলে দলকে জয় উপহার দিয়েছেন তিনি।

লিওঁর বিপক্ষে নেইমারের গোলটা এসেছে ৮৭ মিনিটে। প্রথম একাদশে নেইমার ছিলেন না, পিএসজিও খুব ভালো খেলেনি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হবে? ব্যাপারটা ঠিক পছন্দ হয়নি নেইমারের। পরে নেমে তাই ম্যাচের ভাগ্যই বদলে দিলেন। লিওঁর মাঠে প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা কর্নার কিক করতে গেলেই বিভিন্ন ভাবে নেইমারকে হেনস্তা করছিলেন। বোতল ও অন্যান্য জিনিস ছুড়ে মারছিলেন নেইমারের দিকে। কিন্তু নেইমারও জানতেন, কীভাবে সমুচিত জবাব দিতে হয়। তিনি যে কোন মানের খেলোয়াড়, সেটা মুখে নয়, গোল করেই বুঝিয়ে দিলেন নেইমার। খেলার একদম শেষ মুহূর্তে বাম পায়ের দারুণ এক শটে নেইমারের গোলটা লিওঁর সমর্থকদের বুকে একদম শেল হয়ে বিঁধল যেন। আর তা দেখে মোহিত হয়ে গেলেন পিএসজির সমর্থকেরা। নেইমারের প্রতি তাদের দুয়োগুয়ো আনন্দধ্বনিতে পরিণত হতে একদমই সময় নিল না!

নেইমারের এই আগুনে ফর্মে যারপরনাই খুশি দলের কোচ টমাস টুখেলও। নেইমারের আসল রূপ এখনো দেখেনি পিএসজি, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি, ‘ভুলে যাবেন না, চার মাসের মধ্যে মাত্র তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছে নেইমার। এখনো পুরোপুরি সুস্থ না সে। ও আরও ভালো খেলবে। আরও উন্নতি করবে। ওর শারীরিক সক্ষমতা আরও বাড়বে। এমন গুরুত্বপূর্ণ গোল করে ও আরও সহায়তা করবে আমাদের।’

বার্সাতে যাওয়ার স্বপ্ন ছেড়ে দিয়ে নেইমার এখন পুরোপুরি পিএসজি অন্তঃ প্রাণ, এমনটাই মনে করছেন টুখেল, ‘ওর তো আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাই না? ও আমাদের প্রকল্পের সঙ্গে শতভাগ আছে। সতীর্থদের সঙ্গে ওর সম্পর্ক অনেক স্বাভাবিক। পিএসজিকে জেতানোর জন্য ওর যা যা করার দরকার ও তাই করবে।’

আসছে জানুয়ারিতে পরবর্তী দলবদলের সময়ে টুখেলের কথাগুলো বদলে না গেলেই হয় এখন!