মেসি বর্ষসেরা হওয়ার পর ভোট জালিয়াতির অভিযোগ

ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার ‘দ্য বেষ্ট’ হাতে লিওনেল মেসি। ছবি: এএফপি
ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার ‘দ্য বেষ্ট’ হাতে লিওনেল মেসি। ছবি: এএফপি

তিন বছর পর ফিফা বর্ষসেরা ‘দ্য বেষ্ট’ পুরস্কার জিতেছেন লিওনেল মেসি। তবে আর্জেন্টাইন তারকা এ পুরস্কার জেতার পর মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে একটি বিতর্ক। ফুটবল দুনিয়ায় বেশ কয়েকজন ফিফার এই বেষ্ট প্রতিযোগিতায় ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন।

ড্রাভকো লোগারুসিচের ভোটের আবেদনপত্র। পছন্দের প্রতিযোগীকে ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিয়েছেন তিনি। টুইটারে তা প্রকাশ হয়েছে। ছবি: টুইটার
ড্রাভকো লোগারুসিচের ভোটের আবেদনপত্র। পছন্দের প্রতিযোগীকে ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিয়েছেন তিনি। টুইটারে তা প্রকাশ হয়েছে। ছবি: টুইটার

সুদান জাতীয় দলের কোচ ড্রাভকো লোগারুসিচ তাঁদের একজন। তাঁর দাবি, ফিফা বর্ষসেরার এ পুরস্কারে প্রথম পছন্দ হিসেবে ভোট দিয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাহকে। কিন্তু লোগারুসিচ পরে জানতে পেরেছেন, তাঁর ভোট পড়েছে লিওনেল মেসির বাক্সে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভোটের ফরমের ছবিও প্রকাশ করেছেন এ কোচ। চারে থেকে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার জয়ের এ দৌড় শেষ করতে হয়েছে লিভারপুলের মিসরীয় তারকা সালাহকে। দুবাইভিত্তিক আল আরাবিয়া টিভি চ্যানেলকে সুদানের কোচ বলেন, ‘প্রথম স্থানে সালাহকে ভোট দিয়েছি, দুইয়ে সাদিও মানে, তিনে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ভোট দিয়েছি। সইয়ের পর ভোটের আবেদনপত্রের একটি ছবিও তুলেছি আমি। কিন্তু তারপর কী ঘটেছে জানি না।’

চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর জানা গেছে, লোগারুসিচ প্রথম স্থানের জন্য লিওনেল মেসি, দ্বিতীয়তে ভার্জিল ফন ডাইক ও তৃতীয় স্থানের জন্য সাদিও মানেকে ভোট দিয়েছেন। প্রায় একইরকম অভিযোগ তুলেছেন মিসরের তারকা ফুটবলার আহমদ এল মোহাম্মদি। তাঁর দাবি, সালাহকে ভোট দিলেও তা নিবন্ধিত হয়নি। এ ছাড়া মিসরের অলিম্পিক কোচ শাকি গারিবও জানিয়েছেন তাঁর ভোট নিবন্ধিত হয়নি।

চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হওয়ার পর লোগারুসিচ যাঁদের ভোট দিয়েছেন সেই তালিকা। আগের তালিকার সঙ্গে মিল নেই। ছবি: টুইটার
চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হওয়ার পর লোগারুসিচ যাঁদের ভোট দিয়েছেন সেই তালিকা। আগের তালিকার সঙ্গে মিল নেই। ছবি: টুইটার

৪৬ পয়েন্ট নিয়ে এবার ফিফা বর্ষসেরা হয়েছেন মেসি। ৩৮ র‌্যাঙ্কিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন নেদারল্যান্ডস ও লিভারপুলের তারকা ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক। পর্তুগিজ তারকা রোনালদো ৩৬ র‌্যাঙ্কিং পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়। ফিফার পুরস্কারে সমান ২৫ শতাংশ পয়েন্ট থাকে সাংবাদিক, জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক ও সমর্থকদের কাছে।