অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের পর অপেক্ষা বাড়ছে পাকিস্তানের

গতকাল এভাবেই স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন পাকিস্তানের সমর্থকেরা। ছবি: এএফপি
গতকাল এভাবেই স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন পাকিস্তানের সমর্থকেরা। ছবি: এএফপি

করাচির একটি গর্ব ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মহলে। এখানে কখনো ওয়ানডে ম্যাচ বাতিল হয় না। একেবারে বাতিল হয় না বললে ভুল হবে। দর্শক হাঙ্গামায় তিনটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতি এখানে কখনো ম্যাচের গতিতে বাদ সাধতে পারেনি। সে অহংকার কাল চূর্ণ হয়েছে। বৃষ্টিতে কাল শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রথম ওয়ানডে বাতিল হয়েছে। এত বছরের রেকর্ডটা সর্বোচ্চ নির্মমতায় ভেঙেছে প্রকৃতি। কাল করাচিতে কোনো বল হওয়া তো দূরের কথা, টসই করা যায়নি।

পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে আরও ৪ বছর আগে। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ২০১৫ সালে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বিশ্ব একাদশের সঙ্গে দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে তারা। তবু ২৭ সেপ্টেম্বরের ম্যাচটি নিয়ে প্রবল আগ্রহ ছিল। কারণ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানাতে চাইছে পাকিস্তান। আর এ ম্যাচ দিয়েই যে পাকিস্তানের জাতীয় স্টেডিয়াম ১০ বছর পর কোনো ওয়ানডে আয়োজন করত।

প্রকৃতির এত কিছু নিয়ে ভাবতে বয়ে গেছে। অপ্রত্যাশিত বর্ষণে করাচি স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড ভেসে গেছে। স্টেডিয়াম এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে আগামীকালের (২৯ সেপ্টেম্বর) ম্যাচটিও এক দিন পিছিয়ে নিতে হচ্ছে। ভেজা মাঠ প্রস্তুত করতে অন্তত দুই দিন সময় নিতে হবে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবারসহ এ সপ্তাহের ভারী বর্ষণ আউটফিল্ডকে সিক্ত করে রেখেছে। মাঠকর্মীরা খেলার উপযুক্ত করতে অন্তত দুই দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন। পিসিবি আরও জানাচ্ছে, শুক্রবার অর্থাৎ ২৭ সেপ্টেম্বরের টিকিট ৩০ সেপ্টেম্বর বা ২ অক্টোবরের ওয়ানডে ম্যাচের জন্য ব্যবহার করা যাবে। তা ছাড়া রোববারের অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বরের টিকিটও ৩০ সেপ্টেম্বর বা ২ অক্টোবর ব্যবহার করা যাবে। আর এ সিরিজের জন্য পিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শুক্রবারের ম্যাচের টিকিটের টাকা ফেরতও নেওয়া যাবে।

পাকিস্তান বোর্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরিচালক জাকির খান বলেছেন, ‘এ সপ্তাহের অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি আমাদের সূচি বদলাতে বাধ্য করেছে। পাকিস্তানের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ এ সিরিজের আর কোনো ম্যাচ যেন পরিত্যক্ত না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে সূচি পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য আমি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড ও সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’