খেলার জন্য টুইটারে আকুতি জাপানি তারকার

এককালে মিলানের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন কেইসুকে হোন্ডা। ছবি : উয়েফার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া
এককালে মিলানের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন কেইসুকে হোন্ডা। ছবি : উয়েফার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

কেইসুকে হোন্ডাকে গত দশকের অন্যতম সফল জাপানি খেলোয়াড় বলা হলে হয়তো অত্যুক্তি করা হবে না। হোন্ডার এখন বয়স হয়েছে। তেমন খেলতে পারেন না। এককালে এসি মিলানের মতো ক্লাবের হয়ে খেলা এ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার এখন বেকার। তাঁকে নেওয়ার মতো কোনো ক্লাব নেই। বেকার হোন্ডা তাই টুইটারকে বেছে নিয়েছেন চাকরি খোঁজার মাধ্যম হিসেবে।

টুইটারে নিজের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে গত কয়েক দিনে দুটি টুইট করেছেন হোন্ডা। একটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে উল্লেখ করে, আরেকটি এসি মিলানকে। দুই টুইটের সারমর্ম এক—কাজ দাও। হ্যাঁ, নিজের টুইটে বিশ্বের অন্যতম নামী দুই ক্লাবকে ট্যাগ করে হোন্ডা চাকরি চেয়েছেন। দুই দিন আগে হোন্ডা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে উল্লেখ করে টুইট করেছিলেন, ‘আমাকে খেলতে ডাকো। আমাকে খেলার প্রস্তাব দাও। আমার টাকাপয়সা লাগবে না। আমি একটা অসাধারণ ক্লাব ও অসাধারণ সতীর্থদের সঙ্গে খেলতে চাই।’

কাল আবারও একই কাজ করেছেন হোন্ডা। এবার টুইটে উল্লেখ করেছেন নিজের সাবেক ক্লাব এসি মিলানকে, ‘আমি সব সময় তোমাকে সাহায্য করতে চেয়েছি এসি মিলান। তোমার দরকার হলে আমাকে ডাক দিয়ে দেখ।’

২০০৮ সালে জাপানের হয়ে অভিষিক্ত হোন্ডা ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালে খেলতেন রাশিয়ান ক্লাব সিএসকেএ মস্কোর হয়ে। পাঁচ বছরে নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ২০১৪ সালে যখন সিএসকেএ’র সঙ্গে হোন্ডার চুক্তি শেষ হয়ে যায়—‘ফ্রি’ হোন্ডাকে দলে ভেড়ানোর জন্য লাইন লাগিয়েছিল জুভেন্টাস, বায়ার্ন মিউনিখ, এসি মিলান, ইন্টার মিলান, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহামের মতো ক্লাবগুলো। সবাইকে হারিয়ে তখন এসি মিলানই হোন্ডাকে দলে পায়। এসি মিলানের হয়ে তিন বছর খেলেছিলেন হোন্ডা। তিন বছর মোটামুটি ভালোই খেলেছিলেন। এসি মিলানের অবস্থা গত সাত-আট বছর ধরে এমনিতেই ভালো না, দিন যত যাচ্ছে, অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে ক্লাবটির।

একই অবস্থা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেরও। আগের সেই দিন আর নেই তাঁদের। প্রিয় ক্লাব দুটির এই অবস্থা দেখে ভালো লাগছে না হোন্ডার। তাঁর ওপর নিজেরও করার কিছু নেই, চাকরি দরকার। সব মিলিয়ে এই দুই ক্লাবকে উল্লেখ করে কাজের জন্য টুইট করেছেন হোন্ডা।

দেখা যাক, টুইটে কাজ হয় কি না। আরও কোনো ক্লাবকে উল্লেখ করে হোন্ডা টুইট করেন কি না, সেটাও দেখা যাবে সামনে।