বাদ পড়ে আইনি নোটিশ পাঠালেন দুই খেলোয়াড়

টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মানস চৌধুরী। প্রথম আলো ফাইল ছবি
টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মানস চৌধুরী। প্রথম আলো ফাইল ছবি
চলতি বছর ডিসেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিত হবে এসএ গেমস। শুরু হয়েছে বাংলাদেশের প্রস্তুতি। গেমসের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মানস চৌধুরী ও সালেহা সেতু

এসএ গেমসের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মানস চৌধুরী ও সালেহা সেতু। এসএ গেমসের জন্য চূড়ান্ত দল গড়ার আগে কেন এই দুজন বাছাইয়ে খেলার সুযোগ পাবেন না, তার কারণ জানাতে একটি আইনি নোটিশ দিয়েছেন এই দুজনের আইনজীবী। এই আইনি নোটিশের কপি একই সঙ্গে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব, ট্রেনিং ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও টিটি অনুশীলন ক্যাম্পের কমান্ডারকেও পাঠিয়েছেন দুজন।

টিটিতে পাঁচবারের সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মানস আইনি নোটিশ পাঠানোর পর বলছিলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। আমার দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে দেখেছি, ফেডারেশন ভালো খেলোয়াড়দের কখনো মূল্যায়ন করে না। আমি বিওএ থেকে কোনো টাকা নিচ্ছি না। শুধু অনুশীলনের সুযোগ চেয়েছি। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলে আসার পরও যদি এসএ গেমসে খেলতে না পারি, এর চেয়ে হতাশার কিছু নেই।’

বিওর নির্দেশনা অনুসারেই এই দুজনকে বাদ দিয়েছে ফেডারেশন, এমনটাই দাবি সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের। আবাসিক ক্যাম্পে থেকে নিয়মিত দুই বেলা অনুশীলন করতে হবে, এটাই বিওএর নির্দেশনা। কিন্তু মানস থাকেন চট্টগ্রামে, সালেহা রাজধানীর উত্তরায় একটি স্কুলে শিক্ষকতা করায় এক বেলা অনুশীলন করছেন। সব দিক বিবেচনায় নিয়ে তাই আইনি নোটিশের জবাব দিতে প্রস্তুত জাহাঙ্গীর আলম, ‘আমরা এই নোটিশ পেয়েছি। ওরা আইনের আশ্রয় নিয়েছে খেলতে পারেনি বলে। ওদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকা উচিত। কিন্তু ক্যাম্পের ব্যাপারে আমাদের হাতে কিছু নেই। বিওএ আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছে, এর বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। এখন আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। আইনি লড়াই করা ছাড়া আমাদেরও কোনো উপায় নেই।’