সিলেট-রাজশাহীর ক্রিকেটাররা এত ফিট

ফিটনেস টেস্টে ভালো করার পর রাজশাহীর তিন খেলোয়াড়—জুনায়েদ, সাব্বির ও মিজান। ছবি: ফেসবুক
ফিটনেস টেস্টে ভালো করার পর রাজশাহীর তিন খেলোয়াড়—জুনায়েদ, সাব্বির ও মিজান। ছবি: ফেসবুক

মাঠের খেলায় আকর্ষণীয় হবে কি না, সেটি এখনই বলা কঠিন। তবে এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে অনেক নতুনত্ব আসছে, এটি নিশ্চিত। প্রথমবারের মতো ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যোগ হচ্ছে নাম ও জার্সি নম্বর। জার্সির সামনে থাকছে বিভাগ ও পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটনের নাম। আরও একটি নিয়ম চালু হচ্ছে—কনকাশন (মাথায় আঘাতজনিত সমস্যা) বদলি খেলোয়াড় নামা। তবে এরই মধ্যে যে বিষয়টি আলোচিত—জাতীয় লিগ খেলতে হলে ফিটনেসের পরীক্ষায় (বিপ টেস্ট) পেতে হবে ‘১১’।

কাল ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালে প্রায় দেড় শ ক্রিকেটার দিয়েছেন বিপ টেস্ট। সাত বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছেন সিলেটের খেলোয়াড়েরা। সিলেটের খেলোয়াড়েরা বিপ টেস্টে গড়ে পেয়েছেন ১২.৮। রাজশাহীর খেলোয়াড়েরা পেয়েছেন ১১.৬। বাকি বিভাগের ক্রিকেটাররাও খারাপ করেননি। গড়ে ১০-এর ওপরই থেকেছে তাঁদের নম্বর। খেলোয়াড়েরা যেভাবে ফিটনেসে গুরুত্ব দিয়েছে, সেটি নিয়ে সন্তুষ্ট নির্বাচক হাবিবুল বাশার, ‘বিপ টেস্টে গড়ে সবাই ১০-এর ওপর পেয়েছে। যদি গত বারের মতো ৯ থাকত, এ উন্নতিটা নিশ্চিত হতো না। অনেকে বলছে, ঢাকা ছাড়া কোথাও ফিটনেস নিয়ে কাজ করার তেমন সুযোগ-সুবিধা নেই। অথচ দেখেন সিলেট-চট্টগ্রামের খেলোয়াড়েরাই ফিটনেসে সবচেয়ে ভালো করেছে।’

কাল ফিটনেস টেস্টে সবচেয়ে ভালো করেছেন সিলেটের মুমিনুল ইসলাম মোহন—পেয়েছেন ১৪.৫। শুধু তরুণেরাই নন; এনামুল হক জুনিয়র, অলক কাপালির মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররাও পেয়েছেন ১২-এর ওপর। ফিটনেস নিয়ে সিলেটের খেলোয়াড়দের উন্নতির কারণ জানালেন দলটির কোচ রাজীন সালেহ, ‘ফিটনেসে আমরা এক নম্বর হওয়ার লক্ষ্যে এবার কাজ করেছি। আগে থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছিল। নিজেদের খরচে ট্রেনার নিয়ে ২০-২৫ দিন কাজ করেছে খেলোয়াড়েরা। এ পরীক্ষার আগেই নিজেরাই বিপ টেস্ট নিয়েছিলাম। ফিটনেস নিয়ে এ কারণেই সিলেটের খেলোয়াড়েরা ভালো করেছে। ফিটনেসে এ উন্নতি ধরে রেখে আমরা মাঠের খেলাতেও ভালো করতে চাই।’

জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্পেই রাজশাহীর খেলোয়াড় সাব্বির রহমান পেয়েছেন ১২.৩, ফরহাদ রেজা ১২.২। কাল বিপ টেস্টে ১১.৫ পাওয়া রাজশাহীর ওপেনার মিজানুর রহমান জানালেন, খেলা না থাকলেও সারা বছরই তাঁরা কাজ করেন ফিটনেস নিয়ে, ‘রাজশাহীর খেলোয়াড়েরা ফিটনেস নিয়ে ভীষণ সচেতন। সারা বছর আমরা ফিটনেস নিয়ে কাজ করি। মাঠ ভেজা থাকলে পদ্মার চরে কাজ করি। এ কারণে রাজশাহীর সবাই ভালো করেছে।’

অলক-এনামুল-ফরহাদের মতো আরেক সিনিয়র খেলোয়াড় শাহরিয়ার নাফীসের নম্বরও ভালো—১১.২। তবে ফিটনেস পরীক্ষায় সুখবর মেলেনি মোহাম্মদ আশরাফুল, আবদুর রাজ্জাক, তুষার ইমরানদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের। বিপ টেস্টে কেউই ১০-এর ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। তুষার পেয়েছেন ৮.১১। জাতীয় লিগে ধারাবাহিক ভালো খেলা খুলনার এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হতাশ নিজের ফিটনেস নিয়ে, ‘অন্য বিভাগের তুলনায় আমাদের বিপ টেস্টের ধরনটা একটু অন্যরকম ছিল। নিজের কাছেই খারাপ লাগছে, অন্তত ১০ পেলাম না। গতবার ১০ পেয়েছিলাম। আরেকবার পরীক্ষা দেব।’