আফ্রিদিকে নিয়ে মজা করায় খেপেছে পাকিস্তানিরা
>১৯৯৬ সালে তখনকার ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি। সে দিনটি স্মরণ করে কাল ইনস্টাগ্রামে পোস্টে করেছিল ইএসপিএন ক্রিকইনফো। সেখানে আফ্রিদিকে নিয়ে ঠাট্টা করেন ইংল্যান্ডের সাবেক ওপেনার নিক কম্পটন
পাকিস্তানের জার্সিতে দেশটির সমর্থকদের প্রায় দুই যুগ বিনোদন দিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। ‘বুম বুম আফ্রিদি’ তকমাটা পেয়েছেন সমর্থকদের কাছ থেকেই। সেই আফ্রিদি যদি কারও কাছে ঠাট্টার পাত্র হন সমর্থকেরা তো মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে পারেন না। তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন ইংল্যান্ডের সাবেক টেস্ট ব্যাটসম্যান নিক কম্পটন। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ককে নিয়ে ঠাট্টা করায় তাঁর সমর্থকদের শূলে চড়তে হয়েছে কম্পটনকে।
ঘটনার সূত্রপাত ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে। কাল ছিল আফ্রিদির জন্য বিশেষ একটি দিন। ১৯৯৬ সালে নাইরোবিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে আফ্রিদি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৭ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন আজকের দিনে। সেটি ছিল তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচ। ব্যাট করতে নেমেছিলেন প্রথমবারের মতো। ইএসপিএন ক্রিকইনফো সে দিনটি স্মরণ করে একটি পোস্ট করে এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আফ্রিদির সেই ইনিংসের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘১৯৯৬ সালের এই দিনে শহীদ আফ্রিদি তখনকার ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন প্রথম আন্তর্জাতিক ইনিংসে।’
মেরে বলের ছাল-চামড়া তুলে নেওয়া দর্শন হওয়ায় আফ্রিদি কখনোই ধারাবাহিক হতে পারেননি। তাঁর টেস্ট গড় ছত্রিশ, ওয়ানডেতে তেইশ আর টি-টোয়েন্টিতে সতেরো। কিন্তু পাকিস্তানকে ম্যাচ জেতানো বেশ কিছু স্মরণীয় ইনিংস রয়েছে সাবেক এ অলরাউন্ডারের। সমর্থকেরা মূলত ব্যাটসম্যান আফ্রিদির এসব ইনিংস দিয়েই তাঁকে মনে রেখেছেন, ভালোবাসেন। বেচারা কম্পটন তা সম্ভবত বুঝতে পারেননি! ইএসপিএনক্রিকইনফোর সেই পোস্টে ইংল্যান্ডের সাবেক এ ওপেনার খোঁচা মেরে মন্তব্য করেন, ‘এবং তারপর আর কখনো রান করতে পারেনি।’
কম্পটন এ মন্তব্য করার পর আর যায় কোথায়! ইংল্যান্ডের হয়ে ১৬ টেস্ট খেলা এ ব্যাটসম্যানকে পাল্টা ঠাট্টা-মশকরায় স্রেফ ভস্ম করে দেন আফ্রিদির সমর্থকেরা। কম্পটনকে তাক করে করা সবচেয়ে ভদ্রস্থ মন্তব্য, ‘খুব কম লোকই তোমাকে চেনে।’ আসলে নিজের ক্যারিয়ার দিয়ে তেমন একটা পরিচিতি পাননি কম্পটন। মাত্র চার বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে তাঁর ব্যাটিং গড় ২৮.৭০। তবে ইংলিশ ক্রিকেটের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ও আর্সেনালের সাবেক ফুটবলার ডেনিস কম্পটনের নাতি হওয়ায় আলাদা পরিচিতি রয়েছে ইংল্যান্ডে।