শ্রীলঙ্কায় আম্পায়ারিং নিয়ে আপত্তি বাংলাদেশের

স্বাগতিক দলের পক্ষে আম্পায়ারদের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়েছে। ফাইল ছবি
স্বাগতিক দলের পক্ষে আম্পায়ারদের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়েছে। ফাইল ছবি

‘পক্ষপাতমূলক’ আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগে গত বছর নিদাহাস ট্রফিতে প্রেমাদাসায় ‘সেমিফাইনালে’ রূপ নেওয়া বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে কী হয়েছিল, নিশ্চয়ই মনে আছে। ম্যাচের শেষ দিকে খেলা থেমে ছিল প্রায় ১০ মিনিট, বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সতীর্থদের মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। আজ একই মাঠে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ম্যাচেও প্রায়ই একই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

শ্রীলঙ্কানদের বিপক্ষে আজ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ১২০ রানের দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছে সাইফ হাসান ও মোহাম্মদ নাঈমের ওপেনিং জুটি। নাঈমের চোখে যখন তিন অঙ্ক ছোঁয়ার স্বপ্ন, তখনই ঘটেছে ঘটনাটা। ২৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাঁকে রানআউটের চেষ্টা ছিল শ্রীলঙ্কান ফিল্ডারদের। গায়ে বল লাগায় রানআউট না হলেও আম্পায়াররা নাঈমকে দিয়েছেন ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট। আর এতেই আপত্তি বাংলাদেশ ‘এ’ দলের।

বাংলাদেশের দাবি, নাঈম ইচ্ছাকৃতভাবে ফিল্ডারকে বাঁধা দেননি। তিনি স্বাভাবিকভাবে প্রান্ত বদল করতে চেয়েছেন। তবুও আম্পায়াররা তাঁকে আউট দিয়েছেন। ‘পক্ষপাতমূলক’ আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগে বাংলাদেশ ‘এ’ দল পাঁচ মিনিট খেলা বন্ধও রেখেছিল। দলের সঙ্গে থাকা বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন কলম্বো থেকে মুঠোফোনে বললেন, ‘হ্যাঁ, খানিক সময় খেলা বন্ধ ছিল। নিয়ম অনুযায়ী আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হবে। তবে ম্যাচ শেষে আমরা এ ব্যাপারে ম্যাচ রেফারির কাছে অভিযোগ জানাব।’

এই ঘটনার পরও শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে বড় স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাইফ-নাঈমরা ৯ উইকেটে করেছে ৩২২। সাইফ খেলেছেন ১১০ বলে ১১৭ রানের দ্যুতিময় এক ইনিংস। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জবাবে শ্রীলঙ্কানদের স্কোর ১৫ ওভারে ২ উইকেটে ৮৬।