কিউইদের সঙ্গে আবারও টাই করে জয় ইংল্যান্ডের

সুপার ওভারে সেইফার্টকে তুলে নিয়ে উল্লাস ইংলিশদের। ছবি: এএফপি
সুপার ওভারে সেইফার্টকে তুলে নিয়ে উল্লাস ইংলিশদের। ছবি: এএফপি

অবিশ্বাস্য! রীতিমতো চোখ কচলে দেখতে হয়। তবু বিশ্বাস করা কঠিন। সংস্করণ আলাদা হলেও ইডেন পার্কে আজ ফিরে এসেছিল বিশ্বকাপ ফাইনালের সে টাই ম্যাচের স্মৃতি। প্রতিপক্ষও চার মাস আগের ফাইনালের সেই দুই দল—নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। আর ম্যাচের ফলও পাল্টায়নি। টাই করে সুপার ওভারে গিয়ে আবারও বুক ভেঙেছে নিউজিল্যান্ডের।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের এ পঞ্চম ও শেষ ম্যাচের সঙ্গে গত জুলাইয়ের বিশ্বকাপ ফাইনালের আরেকটি মিল আছে। লর্ডসের সেই ফাইনাল যেমন ছিল শিরোপা নির্ধারণী লড়াই তেমনি আজকের ম্যাচটাও ছিল সিরিজ নিষ্পত্তির। তবে বৃষ্টি হানা দেওয়ায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য নামিয়ে আনা হয় ১১ ওভারে। আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৪৬ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে ১৬ রানের দূরত্বে ছিল ইংল্যান্ড। জিমি নিশামের করা শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ৩ রান তোলেন স্যাম বিলিংস। তৃতীয় বলে আউট হন টম কুরান। জয়ের জন্য শেষ ৩ বলে ১৩ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। ঠিক তখনই ক্রিস জর্ডান এসে শেষ শেষ ৩ বলে যথাক্রমে ৬, ২ ও ৪ রান তুলে ম্যাচটা টাই করে দিলেন!

>

ইডেন পার্কে ইংল্যান্ডে–নিউজিল্যান্ডের টি–টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটা টাই হয়েছে। তবুও সুপার ওভারে জিতেছে ইংল্যান্ডই। চার মাস আগে বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতিই যেন ফিরিয়ে এনেছিল দুই দল

তখন স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি উপচে পড়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। সে ম্যাচে এই দুই দল টাই করেছিল সুপার ওভারেও। অদ্ভুত বাউন্ডারি নিয়মে এগিয়ে থাকায় বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। নিয়মটি পরে বাতিলও করা হয়েছে। তবে আজ তেমন কিছু ঘটেনি। সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ১৭ রান তুলেছিলেন ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো-এউইন মরগান জুটি। তাড়া করতে নেমে জর্ডানের বোলিংয়ের সামনে ১ উইকেটে ৮ রান তুলে থেমেছে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। দম আটকানো এ জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ৩-২ ব্যবধানে নিজেদের করে নিল মরগানের দল।

বিশ্বকাপে হৃদয়ভাঙা সেই হারের পর এ নিয়ে দুবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েও জিততে পারল না নিউজিল্যান্ড। আজ সুযোগ ছিল বিশ্বকাপ ফাইনালে সে হারের জ্বালা সুদে-আসলে মিটিয়ে নেওয়ার। কিন্তু সুপার ওভারে টম সেইফার্ট, মার্টিন গাপটিল ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম মিলেও জেতাতে পারেননি কিউইদের। সত্যি বলতে সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডের ভাগ্যটাই যেন সুপ্রসন্ন হয় না। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সংস্করণ মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৬ বার সুপার ওভারের পরীক্ষা দিয়ে একবার পাশ (জয়) করতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড।