জোড়ায় জোড়ায় উইকেট পড়ার কী ব্যাখ্যা

জোড়ায় জোড়ায় উইকেট পড়াকে বাজে অভিজ্ঞতা বলছেন মাহমুদউল্লাহ। ফাইল ছবি, বিসিবি
জোড়ায় জোড়ায় উইকেট পড়াকে বাজে অভিজ্ঞতা বলছেন মাহমুদউল্লাহ। ফাইল ছবি, বিসিবি

‘আম পাতা জোড়া জোড়া…’ নামতা পড়তে পড়তে যেন কাল এগোচ্ছিলেন ভারতীয় বোলাররা! কঠিন পরিস্থিতি থেকেও বলকে ‘চাবুক’ বানিয়ে পুরো ম্যাচের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিলেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাও যেন একই নামতা পড়ে জোড়ায় জোড়ায় উইকেট দিয়ে এলেন!

দ্বিতীয় ওভারে পর পর দুই বলে আউট হলেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। ঠিক এর পরেই মোহাম্মদ মিঠুন আর নাঈমের ৯৮ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। ১৩তম ওভারের শুরুতেও মনে হচ্ছিল এই ম্যাচ না জিতে পারেই না বাংলাদেশ! ঠিক তখনই সর্বনাশ—আবারও পর পর দুই বলে আউট দুই ব্যাটসম্যান—মিঠুন ও মুশফিকুর রহিম। পর পর দুই বলে আউট হয়েছেন নাঈম ও আফিফ হোসেনও।

ভারতের দুই বোলার শিবম দুবে আর দীপক চাহার একাধিকবার তৈরি করলেন হ্যাটট্রিকের সুযোগ। শেষ পর্যন্ত হ্যাটট্রিকটা চাহারই করলেন। শুধুই কি হ্যাটট্রিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সেরা বোলিং করে রাতটা নিজের করে নিলেন। দীপক চাহার রেকর্ডের রাতে বাংলাদেশ দলকে যে প্রশ্নে পড়তে হলো—এই জোড়ায় জোড়ায় উইকেট পড়ার ব্যাখ্যাটা কী?

>

নাগপুরে সিরিজ-নির্ধারণী টি-টোয়েন্টিতে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত জয় দেখা হয়নি। জোড়ায় জোড়ায় উইকেট পড়েছে কাল বাংলাদেশের। এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

বিষণ্ন মনে কাল সংবাদ সম্মেলনে আসা মাহমুদউল্লাহ এ পরাজয়ের ব্যাখ্যা কী দেবেন, ৩৪ রানে শেষ ৮ উইকেট পড়ার কী যুক্তি দেবেন, জোড়ায় জোড়ায় উইকেট পতন নিয়েই-বা কী বলবেন—যেন ভেবেই পাচ্ছিলেন না! বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শুধু এতটুকু বললেন, ‘পর পর দুই বলে উইকেট পড়েছে। যখন পর পর দুই বলে দুটো করে উইকেট পড়ে সেখান থেকে ফিরে আসা কঠিন। এটা সাধারণত হয় না। এ ম্যাচে হয়ে গেছে! এ কারণে আমাদের খুব বাজে অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে।’

সিরিজে দারুণ শুরুর পর সেটি শেষ হলো ‘বাজে অভিজ্ঞতায়’! কদিন পর আরও কঠিন পরীক্ষা—ভারতের বিপক্ষে টেস্ট। টি-টোয়েন্টি পেছনে ফেলে আজ সকালে নাগপুর থেকে ইন্দোরে এসেছে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ চাইবে ভালো অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরতে।