ফিরছে সেই ভয় জাগানো ইতালি

কাল আর্মেনিয়াকে ৯-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে দিয়েছে ইতালি। ছবি: রয়টার্স
কাল আর্মেনিয়াকে ৯-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে দিয়েছে ইতালি। ছবি: রয়টার্স

২০১৮ বিশ্বকাপ এক বিস্ময় উপহার দিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইতালিবিহীন প্রথম বিশ্বকাপ দেখতে হয়েছিল ফুটবলকে। চারবারের বিশ্বকাপজয়ীরা কি তবে হারিয়ে যাবে? এ প্রশ্নও জেগেছিল। কিন্তু রেকর্ডময় এক জয় দিয়ে ২০২০ ইউরো নিশ্চিত করেছে ইতালি। কোচ রবার্তো মানচিনি বলছেন ইউরোতে ইতালিকে এড়াতে চাইবে সব দল।

গতকাল আর্মেনিয়াকে ৯-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইতালি। পালের্মোর এ ম্যাচ দিয়ে এই প্রথম কোনো বাছাইপর্বের সব ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়ল ইতালি। কোনো ম্যাচে দেশটির সাতজনের গোল করার নজিরও এই প্রথম। একটুর জন্য সব ধরনের ম্যাচে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়া হয়নি তাদের। এমন ফর্মে থাকলে ২০২০ ইউরোতে ইতালিকে নিয়ে সবাই শঙ্কায় থাকবে।

ইতালিকে নিয়ে অন্যরা ভয়ে থাকবে কিনা এ প্রশ্ন করা হয়েছিল মানচিনির কাছে। সাবেক ম্যানচেস্টার সিটি কোচ প্রথমেই স্বীকার করে নিয়েছেন দল গোছানো কিংবা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় এখনো তারা পিছিয়ে আছেন, কিন্তু আগামী বছরের টুর্নামেন্টে ইতালি কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না, ‘আমি জানি না তাদের (প্রতিপক্ষ) চিন্তিত হওয়া উচিত কিনা। ওরা আমাদের চেয়ে শক্তিশালী। কারণ পরিকল্পনায় ওরা সব সময় এক ধাপ এগিয়ে থাকে। ফ্রান্স বেশ কয়েক বছর আগে শুরু করেছে। একটা ইউরোর ফাইনাল খেলেছে, বিশ্বকাপ জিতেছে। ওরা এখনো তরুণ এবং শক্তিশালী দলগুলোর একটি। স্পেনও তাই। গত পাঁচ, ছয় বছরে বেলজিয়াম কিছু অসাধারণ প্রতিভা খুঁজে বের করেছে। ইংল্যান্ডও আছে।’

প্রতিভা বের করার দৌড়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকায় মানচিনির কণ্ঠে হুংকার শোনা যাচ্ছে না। তবে আত্মবিশ্বাস ঠিকই টের পাওয়া গেছে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে, ‘সব দল আগে শুরু করেছে প্রক্রিয়াটি। ইতালিরও অসাধারণ ইতিহাস আছে। আমার মনে হয় না ইতালির মুখোমুখি হওয়াকে সহজ মনে হবে না কারও। ওরা হয়তো ভীত নয় কিন্তু ওরা অবশ্যই ইতালি বাদে অন্য কারও মুখোমুখি হতে চাইবে।’

তরুণ ফুটবলার নিয়ে পথ এগোচ্ছে ইতালি। ইউরো শুরু হতে হতে এরাই পরিণত হয়ে উঠবে বলে আশা মানচিনির, ‘এরা সবাই তরুণ খেলোয়াড়। দিন দিন উন্নতি করছে। আন্তর্জাতিক ফুটবল খেললে অভিজ্ঞতা বাড়বেই। ওদের সে দক্ষতা আছে। শুধু একটু সময় দরকার। আমরা দেখি না ২০২০ ইউরোতে কী হয়। এর আগে কোনো বাছাইপর্বেই (বিশ্বকাপ বা ইউরো) আমরা ১০ ম্যাচে জিতিনি। চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য আমরা ছয় মাস সময় পাচ্ছি। দুঃখজনকভাবে এদের কাউকে রেখে যেতে হবে কারণ আমি সর্বোচ্চ ২৩জনকে নিতে পারব। আমরা এভাবে খেলতে পারলে, অসাধারণ একটা ব্যাপার হবে।’

ইউরো বাছাইপর্বের ড্র হবে ৩০ নভেম্বর। তখনই জানা যাবে ইতালির গ্রুপে পড়ছে কারা।