গোলাপি বলের 'নতুনত্ব' নিয়ে আশাবাদী দ্রাবিড়

গোলাপি বলের টেস্ট মাঠে দর্শক ফেরাবে বলে মনে করেন দ্রাবিড়। ফাইল ছবি
গোলাপি বলের টেস্ট মাঠে দর্শক ফেরাবে বলে মনে করেন দ্রাবিড়। ফাইল ছবি
>দিনকে দিন কমছে টেস্ট ক্রিকেটের দর্শক। তবে কলকাতায় বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচের প্রথম তিন দিনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। দিবারাত্রির ম্যাচ টেস্ট ক্রিকেটে দর্শক টানতে পারবে বলে মনে করেন রাহুল দ্রাবিড়।

দিবারাত্রির টেস্ট খেলা থেকে নিজেদের এতদিন দূরে রেখেছিল ভারত। আগামী শুক্রবার কলকাতার ইডেন গার্ডেনে দলটির অভিষেক হচ্ছে গোলাপি বলের টেস্টে। গত কয়েকদিন ধরেই তাই দিবারাত্রির টেস্টের ভালো দিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা। আগের দিন বিসিসিআই সভাপতি ও সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছেন, গোলাপি বলের ম্যাচ ক্রিকেটকে নতুন যৌবন দান করবে। কাল তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির প্রধান ও সাবেক ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড় আশা করেছেন, গোলাপি বলের ম্যাচ টেস্ট ক্রিকেটে দর্শক ফেরাবে। তিনি মনে করেন গোলাপি বলের ক্রিকেটে যে নতুনত্ব আসবে, সেটিই দর্শকদের আকর্ষণ করবে।

দ্রাবিড় গতকাল কথা বলেছেন সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে তিনি বলেছেন দর্শক বেশি হবে ঠিক, কিন্তু কৃত্রিম আলোর নিচে গোলাপি বল দিয়ে টেস্ট খেলাটা খেলোয়াড়দের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের জন্য। ভারত দল এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কীভাবে নিজেদের প্রস্তুত করছে সেটাও বলেছেন দ্রাবিড়, ‘আমরা সন্ধ্যা ৬টায় অনুশীলন করেছি। প্রথম ঘণ্টা সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। সাড়ে সাতটার দিকে শিশির পড়া শুরু করে। এটাই আমার দুশ্চিন্তা।’

দ্রাবিড় এরপর যোগ করেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে দর্শক মাঠে ফেরানোর জন্য গোলাপি বল খুব ভালো সংযোজন। এটাই একমাত্র সমাধান নয়। তবে এটা অনেকগুলো জিনিসের মধ্যে এটাও আমাদের করার বিষয়। শুধুমাত্র যদি আমরা শিশির নিয়ন্ত্রণ করতে পারি গোলাপি বলের টেস্ট ভারতে প্রতি বছরই হতে পারে।’ দ্রাবিড় মনে করেন শিশিরে বল ভিজে গেলে বোলারদের জন্য পরিস্থিতিটা কঠিন হয়ে যেতে পারে, ‘বল ভারী হয়ে গেলে বোলারদের জন্য বিষয়টা কঠিন হয়ে যাবে। তখন তো বল সুইংও করবে না...গোলাপি বলে নতুনত্ব আছে। এটা দর্শককে স্টেডিয়ামে আসতে আকৃষ্ট করবে। এই কারণেই এটা দিয়ে মাঠে দর্শক টানার চেষ্টা করতে হবে।’

একটা সময় ছিল ইডেন গার্ডেনে ম্যাচ হলে তিল ধারণের জায়গা থাকত না। ২০০১ সালে একবার একটি ম্যাচে তো ১ লাখ দর্শক হয়েছিল। তবে এত দর্শক এখন আর মাঠে আনা সম্ভব নয় বলে মনে করেন দ্রাবিড়। কেন, সেটাও বলেছেন ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান, ‘আমরা যখন বলি ২০০১ সালে ইডেন গার্ডেনে ১ লাখ দর্শক হয়েছিল,তখন একটা বিষয় এড়িয়ে যাই। সেই সময় কোনো এইচডি টেলিভিশন ছিল না। তাই বাড়িতে বসে খুব ভালোভাবে খেলা দেখতে পেত না মানুষ। মোবাইলেও তখন ক্রিকেট দেখা যেত না। তখন খেলার তাজা অ্যাকশন দেখতে হলে আপনাকে মাঠে যেতে হতো।’
ইডেন গার্ডেনে গোলাপি বলের টেস্ট সত্যই টানছে দর্শকদের। এরই মধ্যে কলকাতা টেস্টের প্রথম তিন দিনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।