পশুপ্রেমেও সেরা কোহলি

পোষা কুকুর নিয়ে খেলায় মগ্ন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত
পোষা কুকুর নিয়ে খেলায় মগ্ন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেটের প্রতি বিরাট কোহলির ভালোবাসা আর আবেগের বিষয়টি সবারই জানা। কোহলি খুব ভালোবাসেন স্ত্রী আনুশকা শর্মাকে। ভারত অধিনায়কের আরেকটি প্রেমও আছে—পশুপ্রেম। সব সময়ই তিনি প্রাণীর প্রতি ভালোবাসার কথা বলে এসেছেন। ক্রিকেটের মতো প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশেও সেরা তিনি। এবার ভারতের বর্ষসেরা পশুপ্রেমীর পুরস্কার জিতলেন কোহলি। বুধবার পুরস্কারটি ঘোষণা করেছে পিপল ফর দ্য ইথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিমেলস (পেটা)।

প্রাণী অধিকার নিয়ে সব সময়ই উচ্চকণ্ঠ কোহলি এ বছর মালতি নামের একটি হাতিকে ‘বর্বর’দের হাত থেকে বাঁচানোর আহবান জানিয়ে পেটা বরাবর চিঠি লিখেছিলেন। হাতিটিকে রাজস্থানের আমের দুর্গে দর্শনার্থীদের আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার হচ্ছিল। সেখানে নাকি আটজন দুর্বৃত্ত মিলে হাতিটিকে বেধড়ক পিটিয়েছে। সেটা সহ্য করতে পারেননি কোহলি। এ বছরই পেটা বরাবর কোহলি আরও একটি চিঠি লিখেছেন। সে চিঠিতে তিনি প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা কমাতে ১৯৬০ সালের আইনের সংস্কার করার আহবান জানিয়েছেন। প্রাণী নির্যাতনকারীদের আরও কঠোর শাস্তির আওতায় আনারও আহবান জানান ভারত অধিনায়ক।

>

শুধু ক্রিকেট নয়, বিরাট কোহলির ভালোবাসা রয়েছে প্রাণীর প্রতিও। ভারতের বর্ষসেরা পশুপ্রেমী হওয়াটা তারই প্রমাণ

আহত কুকুরের সেবা আর চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরুতে একটি প্রাণী আশ্রয় কেন্দ্রই চালাচ্ছেন কোহলি। আর নিজে কখনোই কোনো প্রাণীকে খাবার হিসেবে গ্রহণ করেন না। খাসি, মুরগিসহ কোনো প্রাণীর মাংসই তিনি খান না। কোহলি আদতে একজন নিরামিষভোজী।

ভারতীয় পেটার পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা কোহলিকে পেটার বর্ষসেরার পুরস্কার দেওয়া নিয়ে বলেছেন, ‘বিরাট কোহলি প্রাণী অধিকার রক্ষায় বড় এক যোদ্ধা। প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা ঠেকাতে কখনোই পিছপা হন না তিনি। ভারতীয় পেটা সবাইকে তাঁর নেতৃত্ব অনুসরণ করার উৎসাহ দেয়।’