বাংলাদেশকে সাক্ষী রেখে রেকর্ড কোহলির

অপরাজিত ফিফটিতে আরেকটি রেকর্ড হয়ে গেল কোহলির। ছবি: এএফপি
অপরাজিত ফিফটিতে আরেকটি রেকর্ড হয়ে গেল কোহলির। ছবি: এএফপি

ক্রিকেট পরাশক্তিদের মাঝে সবচেয়ে পরে দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে নামল ভারত। দেরিতে শুরু করলেও গোলাপি বলে দুর্দান্ত এক দিন কাটিয়েছে তারা। বাংলাদেশকে ১০৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে প্রথম দিনেই ৬৮ রানের লিড নিয়ে নিয়েছে দলটি। আর দিবারাত্রির টেস্টের প্রথম দিনেই অনন্য এক রেকর্ড হয়ে গেল কোহলির। প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রান হলো তাঁর। অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত পাঁচ হাজার রানের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন কোহলি

ক্রিকেটের সব সংস্করণেই নিয়মিত রেকর্ড ভাঙছেন কোহলি। ওয়ানডেতে এক সময় দ্রুততম হাজার রানের মাইলফলকগুলো তাঁরই ছিল। হাশিম আমলা সেগুলো কেড়ে নিলেও অধিনায়ক হিসেবে কোহলির রেকর্ডের ধারে কাছে কেউ যেতে পারছেন না। ওয়ানডেতে সবচেয়ে দ্রুত পাঁচ হাজার রান তোলা অধিনায়কের রেকর্ডটাও কোহলির। এবার টেস্টেও সেটা নিজের দখলে নিয়ে নিয়েছেন।

ভারতের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড বহুদিন ধরেই কোহলির কাছে। ৬০ টেস্টে অধিনায়কত্ব করেও মহেন্দ্র সিং ধোনির রান যে মাত্র ৩ হাজার ৪৫৪। স্বয়ং সুনীল গাভাস্কারও ৪৭ টেস্টে অধিনায়কত্ব করে মাত্র ৩ হাজার ৪৪৯ রান করেছিলেন। আর মাত্র ৫৩তম টেস্ট খেলতে নেমেই পাঁচ হাজার রান পার করে ফেলেছেন কোহলি। এর আগে এ রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিংয়ের। সর্বজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কত্বের সময় ৫৪ টেস্টেই পাঁচ হাজারের মাইলফলক ছুঁয়েছেন পন্টিং।

অধিনায়ক হিসেবে অন্তত পাঁচ হাজার রান করা বাকি চার অধিনায়ক এ দুজনের চেয়ে বেশ পিছিয়ে। অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৬৫৯ রান করা গ্রায়েম স্মিথ পাঁচ হাজার রান তুলতে খেলেছেন ৬১ টেস্ট। অ্যালান বোর্ডার, ক্লাইভ লয়েড ও স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের দরকার হয়েছিল ৬৯, ৭২ ও ৭৬ টেস্ট।

এ তো গেল টেস্টের হিসেব। ইনিংসের হিসেবে অবশ্য কোহলি ধারে কাছেও নেই অন্যরা। কোহলি যেখানে মাত্র ৮৬তম ইনিংসেই পাঁচ হাজার রান করেছেন, সেখানে পন্টিংয়ের দরকার হয়েছে ৯৭ ইনিংস। ইনিংসের দিক থেকে স্মিথ (১১০) কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি অধিনায়ক লয়েডের (১০৬) পেছনে পড়ে গেছেন। এরপরই আছেন অ্যালান বোর্ডার (১১৬)। এ তালিকায় ব্যাটসম্যান হিসেবে সবচেয়ে পিছিয়ে আছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। ৫ হাজার রান তুলতে তাঁর প্রয়োজনীয় ইনিংস সংখ্যাও (১৩০) এ তথ্য স্বীকার করে নিচ্ছে।